বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬

খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে পাই তাহলে আদালতে যাবো, নয়তো সময় চাইবো: ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া

0

ঢাকা অফিস: ‘কাল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল নাগাদও যদি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে পাই তাহলে আদালতে যাবো, নয়তো সময় চাইবো।’ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাতে এক প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এ কথা বলেন। বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল রিপোর্ট আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালতে জমা দেওয়ার কথা। এ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘তবে মনে হচ্ছে একটু সময় লাগবে।’ কেন সময় লাগবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিছু ইনভেস্টিগেশন… এটা সেটা…।’ আরও কিছু ইনভেস্টিগেশন বাকি আছে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা তো গত পরশু আদালতের নির্দেশনা হাতে পেয়েছি, তারপর গতকাল (মঙ্গলবার) একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই আমরা পাঠিয়ে দেবো।’ ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘আদালত তো সকাল ১০টা থেকে ১১টার দিকে বসবে, আমরা বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টার দিকে বসেও যদি রিপোর্ট পাই, তাহলেও পাঠিয়ে দেবো।’ রাতের ভেতরে রিপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে কিনা, এমন প্রশ্নে বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, ‘কিছু ইনভেস্টিগেশন দিয়েছে বোর্ড, সেগুলোর ফলাফল হাতে পেলেই যাবো।’ আর প্রতিবেদন না পেলে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। তবে এর আগে গত ২৮ নভেম্বর বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মাহবুবুল হক বলেছিলেন, ‘এখনও তো সময় আছে, রিপোর্ট বানাতে তো আর সময় লাগে না।’ ওইদিনই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিল করতে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত। দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে গত ১ এপ্রিল বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের সাজা হয় তার। পরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ বাতিল চেয়ে করা আপিলে সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন উচ্চ আদালত।

Share.