বাংলাদেশ থেকে গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মঞ্জুরুল হাসান লিখন হত্যার প্রতিবাদে হত্যাকারি ফল ব্যবসায়িদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি সংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে গাইবান্ধা পৌর গোরস্থান জামে মসজিদে মৃত মঞ্জুরুল হাসান লিখনের জানাযা শেষে দাফন করে ফেরার পথে বিক্ষুব্ধ জনতার একটি অংশ শহরের হর্কাস মার্কেট এলাকায় অভিযুক্তর ফলের দোকানসহ শহরের ডেভিট কোম্পানিপাড়ার দেলু,সোহেল,জিহান,বেলাল,পশ্চিমধানঘড়ার বাবলু,পশ্চিম কোমরনাইয়ের রঞ্জুর দোকানে অগ্নি সংযোগ করে । পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এর পরও বিক্ষুব্ধ জনতা শহরের সাদুল্যাপুর মোড়ে রাস্তায় আগুন জালিয়ে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে সদর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এর আগে ৪ আগস্ট রাতে আম ক্রয় করা কে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনায় ছাত্রলীগের গাইবান্ধা সরকারী কলেজে শাখার সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট গাইবান্ধা জেলা শাখার সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মঞ্জুরুল হাসান লিখন কে শহরের ডেভিট কোম্পানি পাড়ার সংঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় মূলআসামীসহ ৩ জন কে দ্রুত গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে সদর থানা পুলিশ ।গাইবান্ধা সদর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান,৭ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে পরিবার মূল আসামী রক্সিসহ ৩ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকি আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলার জুড়ে চরম ভাবে দেখা দিয়েছে সামাজিক ভাবে মানবিকতার অবক্ষয় । প্রতিনিয়ত নানা অমানুবিক হত্যার ঘটনায় জেলার সচেতন মহলের মতো হতভাগ আইন শৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যরা। শোকের মাস ও করোনাকালিন সময়ে লকডাউন উপেক্ষা করে এ হত্যার প্রতিবাদে মূখর উত্তেজিত জনতা ও দলীয় নেতৃবৃন্দ। মঞ্জুরুল হাসান লিখন হত্যার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছে জেলার সর্বস্তরের মানুষ। তারা অন্যান্য হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্ঠান্ত মুলক শাস্তি দাবী করেছেন।