বাংলাদেশ থেকে গাজীপুর প্রতিনিধি: অজ্ঞাতনামা হিসাবে কারখানার ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া হত্যা করা লাশের পরিচয় শনাক্তের একদিন পর হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও কারখানা ভাঙচুর করেছে স্বজনরা। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে টঙ্গী-সিলেট মহাসড়কে এবং মরকুন হাতিম প্লাস্টিক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ঘণ্টাখানেক কারখানায় তান্ডব চালানোর পর টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, সোমবার মরকুনের হাতিম প্লাস্টিক কারখানা থেকে অজ্ঞাত নামা (২২) বছর বয়সী এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়। একদিন পর লাশের পরিচয় নিশ্চিত হলে পোস্টমর্টেম শেষে আত্মীয়স্বজনের কাছে মঙ্গলবার লাশ হস্তান্তর করা হয়। লাশ নিয়ে স্বজনরা দাফন-কাফনে গোরস্থানেও নিয়ে যায়। লাশ দাফন না করে কারও ইন্দনে হঠাৎ করে শতাধিক লোক রাতে বিক্ষোভ মিছিল করে লাশ নিয়ে আঞ্চলিক মহাসড়কে এসে রাস্তা অবরোধ করে এবং করখানায় ভাঙচুর শুরু করে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, নিহত নাহিদ ও তার কয়েক বন্ধু সারারাত নেশাপানি করে। নাহিদের হত্যা রহস্য ও লাশ কারখানার ভেতর কিভাবে আসলো তা উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে। এর আগে হত্যা রহস্য ও পরিচয় শনাক্তে পুলিশের পিবিআই টিম কাজ শুরু করে। লাশ উদ্ধারের দিন কারখানার লোকজন জানান, কোথা থেকে কিভাবে তাদের কারখানার ভেতরে এই লাশ এসেছে তা তারাও জানে না। এসআই সাব্বির জানান, অজ্ঞাতনামা হিসাবে উদ্ধার হওয়া লাশের নাম নাহিদ (২২)। দেশের বাড়ি ভোলা জেলার কাছিয়া গ্রামে। পিতার নাম মহসিন মিয়া। মঙ্গলবার রাতে লাশ নিয়ে টঙ্গী সিলেট মহাসড়কে বিক্ষোভ করার সময় বিক্ষুব্ধরা হাতিম প্লাস্টিক কারখানাটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। লাশ নিয়ে মহাসড়কে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের ধাওয়া দিলে সড়কে লাশ ফেলে স্বজনরা পালিয়ে যায়। পরে স্বজনদের ডেকে এনে লাশ দাফনের জন্য বলা হলে মৃতের ভাই লাশ নিয়ে যায়। হাতিম প্লাস্টিক কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা পলাশ জানান, নাহিদের পরিবারের স্বজনসহ শতাধিক এলাকাবাসী শতাধিক এলাকাবাসী কারখানায় ভাঙচুর চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
গাজীপুরে লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ, কারখানা ভাঙচুর
0
Share.