বিনোদন ডেস্ক: ন্যান্সি। নন্দিত কণ্ঠশিল্পী। করোনাভাইরাসের এই মহামারিতে মানুষকে নানারকম সাহায্য-সহযোগিতার পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলায় মানুষকে সাহস জুগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মানুষের পাশে থাকা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে-
করোনায় ঘরবন্দি সময়টা কেমন কাটছে?
বন্দিজীবন কারও ভালো লাগার কথা নয়, আমার কাছেও অসহনীয়। কিন্তু কিছু করার নেই। নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য ঘরের বাইরে যাওয়া বন্ধ রাখতে হচ্ছে। সারাদিন ঘরে কাটিয়ে দেওয়ার অভিজ্ঞতা আগেও ছিল, কিন্তু তা এখনকার মতো নয়। এখন সময় কাটছে বন্দির মতো। তারপরও দেশ-বিদেশের খবর রাখার চেষ্টা করছি। ঘরদোর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি বাসায় বসে যা কিছু করা সম্ভব তা করার চেষ্টা করছি।
অনেকে করোনা আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসা ও দুস্থ মানুষের সহায়তায় বিভিন্ন গান প্রকাশ করেছেন। আপনার তেমন কোনো পরিকল্পনা আছে?
গানের মাধ্যমে এখনও সেভাবে কিছু করা হয়ে ওঠেনি। অনেকেই গানের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কেউ কেউ গান প্রকাশ করে করোনা আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসা এবং অসহায় মানুষের সাহায্য করে যাচ্ছেন- এমন কিছুই আমাদের করা উচিত।
গানের মাধ্যমে না হলেও বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। করোনার এই দুর্যোগে মানুষের জন্য কিছু করার কথা ভাবছেন?
মানুষের জন্য সবসময় ভাবি। দেশের অন্যান্য জায়গার মতো যখন নেত্রকোনাতেও করোনা হানা দিয়েছে, তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেখানকার মানুষের পাশে দাঁড়াব। নেত্রকোনায় আমার যে পাঁচ হাজার স্কয়ার ফুটের দোতলা বাড়ি আছে, সেটিকে আইসোলেশন অথবা চিকিৎসকদের থাকার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। তা জেলা প্রশাসককে জানিয়েও দিয়েছি।
সামনে ঈদ, এ উপলক্ষে নতুন গান …
বেশ কিছু গান রেকর্ড করেছি। সে গানগুলোর কোনোটি প্রকাশ করব কিনা- তা জানা নেই। আমি নিজেও গান গাওয়া ও প্রকাশ নিয়ে এ মুহূর্তে কিছু ভাবছি না। তাই বলে গানের চর্চা থেমে নেই। আমার মেয়েও গানের চর্চা করে যাচ্ছে। গানের মানুষ কি গান ছাড়া থাকতে পারে? পারে না। তাই ঘরেই চলছে মা ও মেয়ের গানের চর্চা।