ডেস্ক রিপোর্ট: প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা। তারপর ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় মাথা। এরপর কয়েক কিলোমিটার দূরে এনে দেহটি ফেলে দিয়ে পালাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হল অভিযুক্ত স্বামী। ভারতের বাসন্তী হাইওয়েতে তল্লাশির সময় জীবনতলা থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের নাম শাহরুখ আহমেদ। নিহত মহিলার নাম হামা কামার।পুলিশ জানায়, গভীর রাতে জীবনতলা থানার পুলিশ বাসন্তী হাইওয়েতে সরবেড়িয়ার কাছে প্রতিদিনের মতো চেকিং শুরু করে। সেই সময় কালো রঙের একটি গাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে দেখা যায়, গাড়ির সিটের মধ্যে রক্তের দাগ। কী কারণে এই দাগ, তা জানতে চাওয়ায় গাড়িটির গার্ডরেল ভেঙে পালিয়ে যায় শাহরুখ আহমেদ। এরপরই তার খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। গাড়ি ফেলে প্রায় দু’শ মিটার দূরে বাঁশ বাগানের মধ্যে গিয়ে গা ঢাকা দেয় ওই অভিযুক্ত। রাতের অন্ধকারে অনেক খোঁজাখুঁজির পর সেখান থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে প্রথম নানা প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেলেও পরে শাহরুখ সব স্বীকার করে নেয় বলে দাবি পুলিশের। সে স্বীকার করে যে, কলকাতার রামমোহন সরণির হামা কামারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের ছয় বছরের এক সন্তানও আছে। তার স্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে বনিবনা হচ্ছিল না। সে স্বামীর সঙ্গেও থাকছিল না। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে হামা যাদবপুরে বিক্রমগড়ে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করে। ইতোমধ্যে একটি বারে নর্তকী হিসাবে কাজও শুরু করে সে। জিজ্ঞাসাবাদে শাহরুখ পুলিশকে জানায়, এই বিষয়গুলো সে মেনে নিতে পারেছিল না। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকবার বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল স্ত্রী হামা। দু-তিনজন পুরুষের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় তাকে যখন যাদবপুরের বিক্রমগড় থেকে নারকেলডাঙার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়, তখনও তার মোবাইলে একাধিক নম্বর থেকে ফোন আসতে শুরু করে। তা নিয়ে শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া। এরমধ্যেই হামাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। হত্যা নিশ্চিত করতে নারকেলডাঙা খালপাড়ে স্ত্রীর দেহ নিয়ে গিয়ে ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় তার মাথা। মরদেহটি গাড়িতে করে নিয়ে এসে প্রগতি ময়দান থানার বানতলার কাছে ফেলে দেওয়া হয়। দেহ ফেলে পালাতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ে ওই যুবক।শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মরদেহ উদ্ধার হয়। সেই ছবি দেখানোর পর সে স্বীকার করে এটি তার স্ত্রী এবং সে খুন করে ফেলে রেখে চলে এসেছে। এদিনই তাকে আলিপুরে আদালতে তোলা হবে। এ বিষয়ে বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘খুন হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তল্লাশিতে গাড়িসহ হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে বিচারের জন্য আদালতে তোলা হবে।
গাড়িতে রক্তের দাগ, স্ত্রীর লাশ ফেলে পালাতে গিয়ে ধরা স্বামী
0
Share.