গোবিন্দগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের দূর্যোগ সহনশীল ঘরে প্রান ভয়ে জীবন যাপন করছে সুবিধাভোগীরা

0

বাংলাদেশ থেকে গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : কথায় আছে সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল এই প্রবাদ বাক্যকে হার মানিয়ে এবার আর দরিয়ায় নয় শত মাটির উপর ঢেলেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর নির্মাণে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে জমি ও ঘর দেওয়ার বরাদ্দে অর্থ অপচয় করে শত মাটির উপরে কোন মতে সো পিচ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। দূর্যোগ সহনশীল নামে এ ঘর গুলো দাড়িয়ে থাকলেও নেই তার নিচে প্রয়োজনীয় ভিক্তি একটি ইটের উপরে গেথে রাখা ঘরটি। যাতে কোন প্রকার লিনটোন ঢালাই করা হয়নি। ঘরের ভিতরে ৩ টি দরজা দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে একটি। উপরে চালা গুলোতে নি¤œ মানের কাঠ ঘরের মেজেতে বালু দেওয়া হয়েছে সুবিধাভোগীদের টাকায় তাদের শ্রমিক হিসাবে খাটানো হয়েছে ঘর নির্মাণ কালিন সময়ে। তবু তারা ঘরের মালামাল ও কাজ ঠিক মতো বুঝিয়ে দেয়নি ঠিকাদার। বরং নাম মাত্র পাকা ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে সুবিধাভোগীদের। ঝুকিপূর্ন এসব ঘরের প্রানের ভয় থাকা সত্বেও তারা প্রানের ঝুকি নিয়ে বসবাস করছেন। যে কোন ঝড় তুফানে তারা বেশীর ভাগ সময় সরকারি ভাবে পাওয়া পাকা ঘরে না থেকে জীবনের ভয়ে আগে থেকে থাকা মাটির ঘর গুলোতে বসবাস করেন।এমন চিত্র দেখা যায় গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের রশিদনগর এলাকায় এখানে সাজানো গোছানো একটির পর ঘর নিয়ে একটি করে পৃথক বাড়ী দেখতে পাওয়া যায়। সুবিধাভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় উপরোক্ত তথ্য।সুবিধাভোগী গোলাপ চান,কাশেম আলী,জুই বেগমসহ উপস্থিত সুবিধাভোগীরা জানান,এখানে নির্মাণকৃত ১৬ টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলা কালিন এ বিষয় গুলো বলা হলেও তারা আমাদের কোন কথার কর্নপাত করেনি। তাদের ইচ্ছা মতো তারা ঘর গুলো কোন রকমে নির্মাণ করে আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে। আজ এসব ঘরে আমরা ভয়ে জীবন যাপন করছি। কখন জানি ঘর গুলো উল্টে ভেঙ্গে যায়। দূর্যোগ সহনশীল ঘর বলা হলেও যে কোন দূর্যোগে প্রানহানি ঘটার আশংঙ্কাই বেশী রয়েছে। তারা এসময় নিজ নিজ ঘরের ভিক্তি খুরে গণমাধ্যমকর্মীদের দেখিয়ে বলেন কোন সাহসে আমরা এমন ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস করবো। তারা অনিয়ম করে এসব ঘর নির্মাণকারীদের দৃষ্ঠান্ত মুলক শাস্তি ও পূর্ণরায় ঘর গুলো নির্মাণের দাবী জানান।এবিষয়ে কথা বলতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সাঈদ এর সরকারি মোবাইল ০১৭৬২৬৯৫০৭২ নাম্বারে ও গাইবান্ধা  জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন এর সরকারি মোবাইল ০১৭১৮৪৪৪০৯০ নাম্বারে কল দিলে তারা ফোন রিসিভ না করায় তাদের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।তবে কামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাহেদ চৌধুরী বাবলু বলেন,ঘর গুলো নির্মাণের বিষয়ে তদারকি করেছেন উপজেলা প্রশাসন তারা এ বিষয়ে বলতে পারবেন।উল্লেখ্য, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা জুড়ে এসব ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে যা দৃশ্যমান বিস্তর অভিযোগ সুবিধাভোগী মানুষ গুলোর। উক্ত বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী সুবিধাভোগীদেরসহ স্থানীয় সচেতন মহলের।

Share.