স্পোর্টস রিপোর্ট: দুই গোলে এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনার জয়টা ছিল সময় সাপেক্ষ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নেদারল্যান্ডসের তারকা ফুটবলার ওট উইঘোর্স্ট জোড়া গোল করলে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটি ২-২ ব্যবধানে ড্র হয়। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে আসেনি ফলাফল। এরপর টাইব্রেকারে আর্জেন্টাইন গোলকিপার এলিমিলিয়ানো মার্টিনেজের নৈপুন্যে নেদারল্যান্ডসকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠল লিওনেল মেসিরা। লুইসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বল দখলে প্রায় সমানতালে দুদল খেললেও আক্রমণে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল আর্জেন্টিনার। পুরো ম্যাচের ৪৮ শতাংশ সময় নিজেদের কাছে বল রাখতে সক্ষম হয় আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। আর প্রতিপক্ষের গোলবারে মোট শট নিয়েছে মোট পাঁচটি। পুরো ম্যাচের ৫২ শতাংশ সময় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে নেদারল্যান্ডসের ফুটবলাররা। বল দখলে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে ধার ছিল না ডাচদের। অনটার্গেটে নিতে পেরেছে কেবল দুটি শট। আর গোল পেয়েছে দুটি। দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে নেমে ম্যাচের ২৩তম মিনিটে গোলের সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের বাইরে মেসির নেয়া শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। এর দুই মিনিট পরে ডাচ তারকা বারুইনের শটও চলে যায় গোলবারের ওপর দিয়ে। তবে ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। মাঝমাঠ থেকে বল একাই টেনে নিয়ে যান মেসি। ডি বাইরে বাইরে থেকে তিন ডিফেন্ডারের পায়ের মাঝ দিয়ে দর্শনীয় এক পাস দিলে মলিনা সেটিকে কোন রকম কার্পণ্য না করে গোলে পরিণত করেন। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোল ব্যবধানে। সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে নেদারল্যান্ডস। কিন্তু আক্রমণে সুবিধা করতে পারছিলেন না ডাচ ফুটবলাররা। উল্টো ম্যাচের ৭৩তম মিনিটের উল্টো গোল খেয়ে বসে আরও একটি। এ সময় ডি-বক্সের ভেতরে অ্যাকুইনাকে অবৈধভাবে বাধা দেন ডাচ ডিফেন্ডার। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টি দিয়ে বসেন রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লিওনেল মেসি। এক সময় মনে হচ্ছিলো সহজ জয়ই পেতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু খেলার নাটকীয়তা তখনও বাকি। ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে ব্যবধান কমান ডাচ তারকা ফুটবলার ওট উইঘোর্স্ট। আর অতিরিক্ত সময়ের খেলায় নিজের ও দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন উইঘোর্স্ট। ম্যাচটি ২-২ ব্যবধানে শেষ হয় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও কেউ জয় নিশ্চিত করতে না পারলে টাইব্রেকারে খেলা নিষ্পত্তি হয়।
আর্জেন্টিনা একাদশ (ফরমেশন ৪-৩-৩): এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (গোলরক্ষক), নিকোলাস ওতামেন্দি, রোমেরো, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, মার্কোস আকুনা, মোলিনা, রদ্রিগো ডি পল, এনজো ফার্নান্দেজ, এলেক্সিস ম্যাকএলিস্টার, লিওনেল মেসি, আলভারেজ।
নেদারল্যান্ডস একাদশ (ফরমেশন ৩-৪-২-১): আন্দ্রেস নোপার্ট, ভিরজিল ফন ডাইক, নাথান একে, জুরিন টিম্বার, ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ং, মার্টেন ডি রুন, বারুইন, ড্যালি ব্লিন্ড, ডেঞ্জেল ডাম্ফ্রিস, মেমপিস ডিপে, কোডি গাকপো। কোচ: লুইস ফন গাল।