ঢাকা অফিস: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে পূর্ব বনবিভাগের ১৯টি জেটি। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ অফিস, ২৪টি পাটাতনের রাস্তা, ৬টি জলযান, ৯টি পুকুর ও ভেঙে গেছে দুটি টাওয়ার আর উড়ে গেছে বন বিভাগের স্টেশনের টিনের চালা।বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ৯টায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দবনের দুর্গম এলাকায় সবার সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করতে পারিনি। প্রাথমিকভাবে এ তথ্যগুলো পাওয়া গেছে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারণে বন বিভাগ ৪টি পৃথক কমিটি গঠন করেছে।তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে বনের অনেক এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। তবে দুপুরে জোয়ারের সময়ে আবারও পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণি কেন্দ্রের হরিণ, কুমির ও কচ্ছপ নিরাপদে রয়েছে।এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারে বাগেরহাট জেলার দুই হাজার মৎস্য ঘের ভেসে গেছে।বুধবার (২৬ মে) সকাল থেকে জোয়ারের পানি বাড়তে থাকায় ঘেরের পাড় ভেঙে এবং বাঁধ উপচে পানি ঢুকতে থাকে। এ সময় কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে।বাগেরহাট জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, বাগেরহাট জেলার রামপাল, মোংলা, শরণখোলা এবং মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ২ হাজার ৯১টি মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে চাষিদের ১ কোটি ৫১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে ঘেরের সংখ্যা ও ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি বলে দাবি করেছেন জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম সুমন।এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রাসেল বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী জেলার ৪ উপজেলা মোংলা, রামপাল, শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জের অন্তত ২ হাজার ৯১টি মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে চাষিদের ১ কোটি ৫১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ৩ নম্বর সংকেত জারি করা হয়। ঝড়ো হওয়া ও জলোচ্ছ্বাস স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট উচ্চতায় পানি সুন্দরবন প্লাবিত করে। ফলে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবন বিধ্বস্ত, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৪ কমিটি
0
Share.