ঢাকা অফিস: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পিরোজপুরের বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বুধবার (২৬ মে) প্লাবিত হয়েছে মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, ইন্দুরকানী, কাউখালীসহ অধিকাংশ উপজেলার শতাধিক গ্রাম। স্থানীয়রা জানায়, গতকাল রাত থেকেই বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সকাল পর্যন্ত নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো তলিয়ে গেছে। তবে মঠবাড়িয়ার মাঝের চর, বড় মাছুয়া, সাপলেজা, ভান্ডারিয়ার তেলীখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকাই প্লাবিত হয়েছে। এদিকে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে তৎপর রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।মঠবাড়িয়া উপজেলার মাঝের চরে মঙ্গলবার দুপুরে একটি বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এখন হু হু করে পানি প্রবেশ করছে। গত আম্পানের সময়ও এ বাঁধের প্রচুর ক্ষতি হয়। কোনো টেকসই বাঁধ মাঝের চরে নির্মাণ না হওয়ায় চরম আতঙ্কের মধ্যে থাকেন প্রায় দেড় হাজার পরিবারের অন্তত চার হাজার মানুষ। পিরোজপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ কন্ট্রোল রুম সূত্র আরও জানায়, বাঁধের আরও দুর্বল কিছু অংশে ফাটল দেখা দেওয়ায় বেড়িবাঁধটি এখন সম্পূর্ণ হুমকির মুখে রয়েছে। জেলা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার (ডিআরও) মো. মোজাহারুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাঁধের দুটি অংশের অন্তত ৬০-৭০ ফুট সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া শতশত মাছের ঘের এবং বিভিন্ন ধরনের সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, জেলার ৭ উপজেলায় ৫৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে থাকার জন্য উপযুক্ত করা হয়েছে। পানি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। কঁচা, বলেশ্বর, সন্ধ্যা, কালিগঙ্গা নদীর পানি বিপদসীমার উপর থেকে অতিবাহিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় জেলার ৫৩ টি ইউনিয়নে ১ কোটি ৩২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে এবং বন্যার পানির চাপে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেটা এখনও বলা সম্ভব না। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পিরোজপুরে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত
0
Share.