ঢাকা অফিস: সক্ষমতার পুরোটা দিয়েও সরকারি হাসপাতালের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না একমাত্র সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস লিমিটেড। অথচ পরিধি বাড়লে আরো কয়েক’শ কোটি টাকা রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সরকারি সব হাসপাতাল- রোগীর চাহিদার মাত্র চল্লিশ থেকে ষাট শতাংশ ওষুধ সরবারহ করতে পারে সরকারি তহবিল থেকে। বাকি ওষুধ কিনতে হয় রোগীদের। তবে ফার্মেসিগুলোতে খুচরা পর্যায়ে ওষুধের দাম নিয়ে রয়েছে তীব্র অসন্তোষ। সরকারি বিধি মতে হাসপাতালগুলোর চাহিদার বাহাত্তর শতাংশ ওষুধ নিতে হয় এসেনশিয়াল ড্রাগস থেকে। শুধুমাত্র উৎপাদন সক্ষমতা না থাকায় বেশিরভাগ সময় নির্দিষ্ট পরিমাণের ওষুধ দিতে পারে না ইডিসিএল। তবে ওষুধের দাম আর মান নিয়ে নেই কোনো অভিযোগ। তথ্য-উপাত্ত বলছে, ইডিসিএল মোট সত্তরটি ওষুধ উৎপাদনে করছে। এ থেকে বছরে আয় ৭০০ কোটি টাকা। তবে চাহিদার পুরোটা মেটাতে দরকার এর পরিধি বাড়ানো। পর্যাপ্ত জনবল থাকলেও শুধু জায়গার অভাবে উৎপাদন বাড়নো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান ইডিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির জগলুল। তিনি বলেন, নার্ভাস সিস্টেমের অনেক ওষুধ ও এন্টিবায়োটিক উৎপাদন করতে হবে; ক্ষতস্থানের মলম ও চর্মরোগের ওষুধ এখনও অনেক কম উৎপাদন করা হয়। কিডনি ও প্রোস্টেটগ্ল্যান্ড রিলেটেড ওষুধ উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। কম্বিনেশনস অব ভিটামিন; এই গ্যাপগুলোও পূরণ করতে হবে। ওষুধ উৎপাদনে ইডিসিএল’র সক্ষমতা যতো বাড়ানো যাবে তার প্রভাব পড়বে সরকারি হাসপাতাল থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত। আর তা নিশ্চিত করতে পারলেই তা গিয়ে পড়বে দেশের ওষুদের বাজার ও স্বাস্থ্য খাতের ওপর। ওষুধের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের ব্যাপ্তি আরো বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, ইডিসিএল’র সক্ষমতা বাড়ানো গেলে (প্রয়োজনে নতুন কারখানা স্থাপন) স্থানীয় বাজারে ওষুধের দাম কমে আসবে। সমস্যা সমাধানে শিগগিরই গোপালগঞ্জের নতুন প্ল্যান্ট চালুর আশ্বাস কর্তৃপক্ষের । তবে এরপরেও চাহিদার কতোটা পূরণ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে।
চাহিদার মাত্র অর্ধেক ওষুধ সরবরাহ করতে পারে সরকারি তহবিল
0
Share.