চিকিৎসা না দিয়ে রোগী ফেরত পাঠানোর অভিযোগ পায়নি স্বাস্থ্য অধিদফতর

0

ঢাকা অফিস: চিকিৎসা না দিয়ে সাধারণ রোগী ফেরত পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এমন দাবি করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে রোগী ফেরত পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ নেয়া হবে বলেও ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক মো. আমিনুল হাসানের সই করা হাইকোর্টকে দেয়া এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত ১১ জুন দেশের সকল সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহে কোভিড ও ননকোভিড রোগীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়। তাছাড়া অধিদফতরের হাসপাতাল শাখা থেকে ১৮ জুন দেশের সকল হাসপাতাল ক্লিনিকসমূহকে নির্ধারিত ফি’র (ইউজার ফি) বিনিময়ে (কোভিড-১৯) রোগীর চিকিৎসা অব্যাহত রাখার জন্য এবং ২৯ জুন সকল বেসরকারি হাসপাতালসমূহে সকল ধরনের রোগীদের (কোভিড/নকোভিড এরিয়া চিহ্নিত/বিভাজন পূর্বক) সকল ধরনের চিকিৎসা প্রদানের অনুমোদন প্রাপ্ত ওআরটি পিসিআরের সুবিধা সম্বলিত যে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে নিদিষ্ট ফি’র বিনিময়ে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়। এসব নির্দেশ পালনে অপারগতা প্রকাশকারী/ ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তাদের রেজিস্ট্রেশন স্থগিত/ বাতিলের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে স্মারকে উল্লেখ করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি তাই কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে এ ধরনের বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৫০ বা তার অধিক শয্যার বেসরকারি হাসপাতালে (যেমন-স্কয়ার, এভার কেয়ার, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল ইত্যাদি) নির্দেশনা মেনে কোভিড-১৯ ও নন কোভিড রোগীদের পৃথকভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চে এই প্রতিবেদন মঙ্গলবার (৩০ জুন) দাখিল করা হয়। এই প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। তবে রিটকারী আইনজীবীরা এ বিষয়ের ওপর প্রতিবেদন ওইদিন না পাওয়ায় তারা শুনানি করতে সময় নেন। তখন আদালত বিষয়টি নিয়ে আগামী ৬ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন। এসময় শুনানিতে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক, অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান, অ্যাডভোকেট এ এম জামিউল হক ফয়সাল, ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান ও মাহফুজুর রহমান মিলন। এদিকে প্রতিবেদন আসার বিষয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের সকল হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে। কিন্তু আমরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লক্ষ্য করছি এমন ঘটনার খবর প্রকাশ পাচ্ছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের খবরসমূহ নির্ধারিত তারিখে পরবর্তী শুনানির দিন মহামান্য আদালতে উপস্থাপন করব।

Share.