চিনিকল বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকদলের মানববন্ধনে পুলিশি বাধা

0

ঢাকা অফিস: রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি চিনিকল বন্ধের প্রতিবাদে ও রাষ্ট্রীয় পাটকল সরকারিভাবে চালুর দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করতে না পেরে পদযাত্রা করেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের পূর্বঘোষিত মানববন্ধন পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়। অনুমতি না থাকায় এই মানববন্ধন করতে দেয়নি পুলিশ। রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল বন্ধের সিদ্ধান্ত, হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হওয়া ও ভারতীয় মানহীন চিনি আমদানির প্রতিবাদে এই মানবন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। শ্রমিক দলের নেতাদের অভিযোগ, অনুমতি চেয়ে চিঠি দিলেও কোনো উত্তর আসেনি। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দপ্তরের চলতি দায়িত্বে থাকা দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের সঙ্গে কর্তব্যরত পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে পুলিশের চাপের মুখে প্রেসক্লাব ছাড়তে বাধ্য হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। মানববন্ধন করতে না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি-পেট্রোল) ইত্তেখারুল ইসলাম বলেন, ‘আমার নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই। উপরের নির্দেশ অনুসরণ করেছি শুধু।’ এ বিষয়ে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছেন তাও এই বিজয়ের মাসে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তারা সিস্টেমেই গেলেন না। উল্টো মানববন্ধনের সময় এসে বাধা দিচ্ছেন। গতকাল শ্রমিক দল পুলিশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সে চিঠির কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। অথচ এ সময়ে এসে বাধা ঠিকই দিতে পারছে।’ শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।পুলিশি বাধার প্রতিবাদ জানাতে প্রেসক্লাব থেকে শ্রম ভবন পর্যন্ত পদযাত্রা করেন নেতাকর্মীরা। পরে শ্রম ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।এতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘পুলিশ শ্রমিক দলের আয়োজনে আজকের এই মানববন্ধন বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ এই সরকার জনবান্ধব নয়, শ্রমিকবান্ধব নয়। উল্টো শ্রমিকদের যে কলকারখানা আছে সেগুলো লুটপাট করে খেয়ে অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে দিয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে বেকার হয়ে গেল হাজার হাজার শ্রমিক। অন্যদিকে লাখ লাখ আখচাষি হতাশায় আছে। অনেক আখ রয়েছে তাদের জমিতে, সেই আখ কী করবেন সেটা ভাবতে ভাবতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।’ সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘প্রেসক্লাব থেকে শ্রম ভবন পর্যন্ত পদযাত্রা করেছি। পদযাত্রার মাধ্যমে সরকারের এহেন আচরণের ধিক্কার জানাচ্ছি। নিন্দা জানাচ্ছি যে একদিকে কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে, আবার বন্ধের প্রতিবাদ করার অধিকারও কেড়ে নিচ্ছে।’এ সময় শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, অর্থ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাদল, সিনিয়র সহসভাপতি সুমন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Share.