ঢাকা অফিস: রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। শনিবার (১১ জুলাই) বেলা পৌনে ১২টায় দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।এ সময় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পর্যায়ক্রমে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার, সাহাবুদ্দিন ফরাজী।এছাড়াও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।প্রবীণ এই রাজনীতিকের নামাজে জানাযায় স্বাস্থ্যবিধি মানার নিদের্শনা থাকলেও রাজপথের পরীক্ষিত ত্যাগী এই নেত্রীকে শেষ বিদায় জানাতে বনানী কবরস্থানে দলীয় নেতাকর্মীর ঢল নামে। মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম জানাজা ও দাফনে অংশ নেন।এর আগে শুক্রবার দিনগত রাত ২টার দিকে সাহারা খাতুনের মরদেহ বহনকারী বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২৬ মিনিটে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৭৭ বছর বয়সী এ রাজনীতিক।পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন ৭৭ বছর বয়সী এই নারী রাজনৈতিক। অ্যালার্জিজনিত সমস্যা নিয়ে ২ জুন রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা তাকে। তারপর থেকেই অবস্থার অবনতি ঘটে তার। কয়েকদফা আইসিইউ’তে চিকিৎসা দেয়ার এক পর্যায়ে গত ৬ জুলাই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাহারা খাতুন
0
Share.