মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪

চীনে মহামারি তদন্তে বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

0

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণ তদন্তে বেইজিংকে সহায়তা করতে চীনে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ভাইরাসের সংক্রমণ, প্রতিরোধে চীন সরকারের কার্যক্রম, দেশটির বাইরে মানুষ থেকে মানুষে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে সেখানে যাচ্ছে ওই তদন্ত দল। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক টুইট বার্তায় তদন্ত দল পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেন সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাডহানম গেব্রিয়াসাস। উল্লেখ্য, ওই মহামারিতে ইতোমধ্যে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। সোমবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০৮ জনে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ১৭১ জন। এর আগে রবিবার চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২০০২-০৩ সালে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া সার্সকেও (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ছাড়িয়ে গেছে। সে সময় সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বের ২৪টিরও বেশি দেশে মোট ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়, আক্রান্ত হন ৮ হাজার ৯৮ জন। রবিবার ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাডহানম গেব্রিয়াসাস বলেন, ‌‌‘জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. ব্রুস এলওয়ার্ডের নেতৃত্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি বিশেষজ্ঞ দলকে চীনে পাঠাতে আমরা বিমানবন্দরে এসেছি।’ এর আগে প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণ এবং টিকাদান, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও পোলিও নির্মূলের উদ্যোগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ড. ব্রুস। এর আগে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে দেশটিতে তদন্ত দল পাঠানো হচ্ছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। একপর্যায়ে এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (হেলথ ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। অন্তত ২৮টি দেশে শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস। চীনের বাইরে হংকং ও ফিলিপাইনে এতে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ফিলিপাইনের ওই ব্যক্তিও চীনা নাগরিক। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়। ভাইরাসটি যাতে ছড়িয়ে না যায়, সেজন্য হুবেই প্রদেশকে পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে চীন। ওই অঞ্চলের সঙ্গে চীনসহ বাইরের দুনিয়ার সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ৬৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাডহানম গেব্রিয়াসাস। বহু দেশেই করোনা ভাইরাস শনাক্তের পদ্ধতি না থাকাই বড় দুশ্চিন্তার কারণ বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাইরাসে আক্রান্তদের শনাক্ত, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং তাদের সেবা নিশ্চিতে দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি মানুষ থেকে মানুষে ছড়ানো ঠেকাতে সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।’

 

Share.