ডেস্ক রিপোর্ট: প্রথম ধাপের মার্কিন-চীন বাণিজ্য চুক্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ মালয়েশিয়া বিপদ দেখছে। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় চীন এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বৃদ্ধি করবে। আর এতে চীনে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি বড় ধরনের ধাক্কা খেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। রয়টার্সকে মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি এক কর্মকর্তা বলেছেন, গত বছর চীনে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় আড়াই মিলিয়ন টনে পৌঁছেছিল। কিন্তু বুধবার বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের প্রথম ধাপের বাণিজ্য চুক্তির কারণে চলতি বছরে চীনে পাম অয়েল রফতানি সীমিত হতে পারে। মালয়েশিয়ার পাম অয়েল বোর্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বালু নামবিয়াপ্পান বলেছেন, প্রথম ধাপের চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় চীন এখন যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন আমদানি বৃদ্ধি করবে। প্রায় দুই বছর ধরে চলতে থাকা বাণিজ্যযুদ্ধ শিথিল করতে বুধবার ওয়াশিংটনে প্রথম পর্যায়ের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বিশ্বের প্রধান দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। চুক্তি স্বাক্ষরের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই চুক্তি মার্কিন অর্থনীতির জন্য ‘রূপান্তরকারী’ হবে। চীনা নেতারা এটিকে ‘উইন-উইন’ চুক্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও উন্নতিতে সহায়তা করবে। চুক্তিতে চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিনিময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত নতুন শুল্ক অর্ধেক করতে সম্মত হয়েছে।
নতুন চীন-মার্কিন চুক্তিতে যা আছে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়িয়ে ২০০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে নিয়ে যাবে চীন, যা ২০১৭ সালের সমপরিমাণ হবে। এছাড়াও চীন কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াবে ৩২ বিলিয়ন ডলার, শিল্পপণ্য আমদানি করবে ৭৮ বিলিয়ন ডলার, বিদ্যুৎ আমদানি ৫২ বিলিয়ন ডলার এবং সেবাখাতে আমদানি করবে ৩৮ বিলিয়ন ডলার। নকল ঠেকাতে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিতে একমত হয়েছে চীন। ট্রেড সিক্রেট চুরির ব্যাপারে কোম্পানিগুলোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া সহজতর করার অঙ্গীকার করা হয়েছে। ৩৬০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত চীনা পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, ১০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত মার্কিন পণ্য আমদানিতে শুল্ক কাঠামো পুনঃবিন্যাস করবে।