ডেস্ক রিপোর্ট: চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী প্রথম সড়ক সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সেতুটি রাশিয়ার ব্লাগোভেসচেনস্ক শহরের সঙ্গে চীনের হেইহে’কে সংযুক্ত করবে। রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২০ সালের বসন্তে যান চলাচলের জন্য এই সেতুটি উন্মুক্ত করা হবে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের পরিমাণ বাড়বে। আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভ্যাসিলি ওর্লোভ রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা একটি নতুন আন্তর্জাতিক পরিবহন করিডোর তৈরি করছি। এটি আমাদের সম্ভাব্য ট্রানজিটে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।’ এর আগে রুশ বার্তা সংস্থা তাস’র একটি প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে ওই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এতে খরচ হবে ২৪৭৭ কোটি ৬ লাখ টাকা (১৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন রুবল)। দুই দেশের দুটি শহরকে সংযোগ করে এমন সর্বশেষ নেওয়া অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর একটি হচ্ছে ওই সেতু। আমুর নদীর ওপর নির্মিত সেতুর সঙ্গে আরও ২০ কিলোমিটারের নতুন রাস্তা নির্মাণ করেছে একটি রুশ-চীনা কোম্পানি। ডাচ স্থাপত্যবিদদের নকশাকৃত সীমান্ত অতিক্রমকারী ‘ক্যাবল কার’ ইউএনস্টুডিও (তারের ওপর ভর করে চলা গাড়ি) ২০২০ সালে হেইহি ও ব্লাগোভেসচেন্স্ক শহরের সংযোগ স্থাপনকারী সেতুতে চালু হবে। এই ক্যাবল কারে চড়ে এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতে মাত্র সাড়ে সাত মিনিট সময় লাগবে। রাশিয়ার পূর্ব ও আর্কটিক অঞ্চলের উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র ২৭ নভেম্বর জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনকে সংযোগকারী সেতুটি ২০২০ সালের বসন্তে উন্মুক্ত করা হবে।
চীন-রাশিয়া সংযোগ সেতু নির্মিত হলো
0
Share.