জন্মদিন উপলক্ষে কোকোর কবর জিয়ারতে বিএনপি নেতারা

0

ঢাকা অফিস: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর কবর জিয়ারত করেছেন দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্বের নিয়মের কথা বলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ একাধিক নেতাকে কবরস্থানে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। ফলে কবরস্থানের বাইরে দাঁড়িয়েই মরহুম আরাফাত রহমান কোকের জন্য মোনাজাত করেন খায়রুল কবির খোকনসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ। কোকোর ৫১তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ বুধবার সকাল ১০টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বনানী কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত করতে যান বিএনপির অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী। এ সময় বনানী কবরস্থানের সামনে অবস্থান নিয়ে পুলিশ নেতাকর্মীদের ভেতরে যেতে বাধা প্রদান করে। পরে বিশেষ অনুরোধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক শরফুদ্দিন সপু, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন ও ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ফুল নিয়ে কবরস্থানে প্রবেশ করার অনুমতি পান। এ সময় তাঁরা কবরস্থানে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন। একই সময়ে কবরস্থানের বাইরে থাকা অসংখ্য নেতাকর্মী দোয়া ও মোনাজাত করেন।কবর জিয়ারত শেষে বাইরে এসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা আজ আমাদের নেতা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও এ দেশের জনগণের ভোটে প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের কবর জিয়ারত করতে এসেছিলাম। অনিবার্য কারণে আমরা সবাই যে আবেগ নিয়ে এসেছিলাম, সেই আবেগ নিয়ে সবাই কবরস্থানের পাশে গিয়ে দোয়া করতে পারিনি। আমরা আপনাদের পক্ষ থেকে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেছি। আমরা শুনেছি, আপনারাও বাইরে বসে মোনাজাত করেছেন। আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া করেছি। আমরা দোয়া করেছি খুন, গুম ও নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের জন্য। আমরা যেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারি, সে জন্য দোয়া করেছি।’ এ সময় কবরস্থানের গেটের বাইরে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন প্রমুখ।

Share.