জন্ম নিবন্ধন সংশোধন, নাজেহালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ

0

বাংলাদেশ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি: জন্ম নিবন্ধনের বিধিমালার কঠোরতায় নতুন করে জন্ম নিবন্ধন এবং নাম সংশোধন করতে এসে নাজেহাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্রামাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ।বিশেষ করে সন্তানের স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়ে বাবা-মার জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হওয়ায় ভোগান্তির মাত্রা বেড়েছে কয়েক গুণ। এ অবস্থায় জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রক্রিয়াটি আরও সহজ করার দাবি সাধারণ মানুষের। অবশ্য জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।চাকরি, ব্যবসা, স্কুলে ভর্তি, পাসপোর্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ সরকারি-বেসরকারি সব কাজেই জন্ম সনদের প্রয়োজন হয়। ২০১৮ সালের মার্চে সরকার গেজেটের মাধ্যমে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইনে কঠোরতা আনায় জন্ম নিবন্ধনে সংশোধন এবং নতুন করে জন্ম নিবন্ধন করতে এতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।ভুক্তভোগীরা জানান, জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলের মানুষের নাম সংশোধন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে করা যাচ্ছে না। ডাটা সার্ভারে সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বাবা-মার জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করায় তাদের জন্ম নিবন্ধন না থাকলে মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে বয়স প্রমাণ করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন কিংবা নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে সরকার নির্দেশিত প্রক্রিয়ার অনুসরণ করে জেলা কিংবা উপজেলা অফিসে গিয়ে করতে হচ্ছে। ফলে বাড়ছে ভোগান্তি।সাধারণ মানুষ জানায়, লেখার সময় আকার-একার ভুল করছেন তারা, যার কারণে আমাদের ভোগান্তি বেড়েছে।  ভোগান্তির কথা স্বীকার করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা জানান, জরুরি কাজ সহজ ও নানামুখী ভোগান্তি এড়াতে ডাটা সার্ভারের সহজ অপশন অনুযায়ী অনেকে মিথ্যা তথ্য দিতে বাধ্য হচ্ছেন।সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ উদ্যোক্তা মো. ইমন মিয়া বলেন, আমরা যখন নিবন্ধনটা করি তখন দেখা যায় বাচ্চার বাবার নামটা ভুল। এ ভুলটা আমরা সরাসরি সংশোধন করতে পারি না।সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুর বলেন, আমিও নিজেও এ ভোগান্তির শিকার। মো. সংক্ষিপ্ত করে আমার সার্টিফিকেটে লেখা ছিল, কিন্তু  নিবন্ধনে পুরো মোহাম্মদ লেখা ছিল। এটা সহজ করার জন্য আমাকে তারা মৃত দেখিয়েছে।  ভোগান্তির কথা স্বীকার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, ডাটা অ্যান্ট্রি অপারেটরের ভুলের কারণে অনেক ক্ষেত্রে মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন। বলেন, ডাটা অ্যান্ট্রি ইমপুটি দিতে গিয়ে কিছু তথ্যগত ভ্রান্তির কারণে অনেকের ভুল হচ্ছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, উপপরিচালক আছেন, স্থানীয় সরকার কর্মকর্তা আছেন তারা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। আমরা আশা করছি জন্ম নিবন্ধন সেবার যে মান, সে মানের উন্নত ঘটবে। প্রায় ৩৩ লাখ মানুষের এ জেলায় ১০০টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং ৫টি পৌরসভার মানুষ জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

Share.