ডেস্ক রিপোর্ট: মলদ্বার দিয়ে স্তন্যপায়ীদের অক্সিজেন নেয়া সম্ভব বলে এক গবেষণায় দেখিয়েছেন জাপানি বিজ্ঞানীদের একটি টিম। সমুদ্রের কিছু প্রাণী জরুরি পরিস্থিতিতে তাদের অন্ত্র দিয়ে নিঃশ্বাস নেয়। সেটাই টোকিও মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল ইউনিভার্সিটির গবেষকদের আকর্ষণ করে। তখন তারা এ নিয়ে ল্যাবে ইঁদুর এবং শূকরের ওপর গবেষণা চালান। সেখানে তারা চমকপ্রদ তথ্য পান। সেই গবেষণার ফলই জার্নাল মেড-এ প্রকাশিত হয়েছে। তারা বলছেন, ভেন্টিলেটর স্বল্পতার কারণে যারা শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা ভোগেন সেসব মানুষের ওপরও এটি প্রয়োগ করা সম্ভব।প্রাণী জগতে উপরের দিকে থাকা প্রাণীদের ক্ষেত্রে, যেমন মানুষ, অক্সিজেন নেয় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে। এজন্য মানুষ ফুসফুস ব্যবহার করে। যদিও কিছু কিছু প্রজাতির প্রাণীর ক্ষেত্রে বিকল্প ভেন্টিলেটর মেকানিজম ব্যবস্থার বিবর্তন ঘটেছে।লোচস, ক্যাটফিশ, সামুদ্রিক শসা এবং অরব-ওয়েভিং মাকড়সা জরুরি পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন নিতে তাদের হিন্ডগাট ব্যবহার করতে পারে। এটিকে মলদ্বারের মাধ্যমে বায়ু চলাচল বা বা ইভিএ বলা হয়।গবেষণার প্রধান গবেষক রিও ওকাবে বলেন, মলদ্বারে অনেকগুলো রক্তনালী রয়েছে। তাই যখন মলদ্বার দিয়ে ওষুধ দেয়া হয়, তা সহজেই রক্ত প্রবাহে শোষিত হয়। তখন গবেষকরা চিন্তা করলেন যে, একই পদ্ধতিতে অক্সিজেন দেয়া সম্ভব কিনা।এজন্য অক্সিজেন স্বল্পতায় ভুগতে থাকা ইঁদুর ও শূকরের ওপর দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করে গবেষণা চালানো হয়। এসব প্রাণীর মলদ্বার দিয়ে গ্যাস আকারে এবং অক্সিজেন-সমৃদ্ধ এনিমা রূপে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়।এরপর এসব প্রাণীর অক্সিজেন সরবরাহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু যেহেতু এসব পদ্ধতি মানুষের জন্য অগ্রহণযোগ্য তাই এসব প্রাণীর ওপর তারা অক্সিজেনেটেড পারফ্লুরোডেক্যালিনও ব্যবহার করেন। এই তরল ইতোমধ্যেই নিরাপদ এবং নির্বাচিত ক্লিনিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছে।গ্যাস ও তরল আকারে অক্সিজেন দেয়ার পর অক্সিনাইজেশন বৃদ্ধি পায় এসব প্রাণীর। তাদের আচরণও স্বাভাবিক হয়ে আসে এবং তাদের বেঁচে থাকা দীর্ঘায়িত হয় বলে গবেষণায় দেখতে পান বিজ্ঞানীরা।
জরুরি পরিস্থিতিতে মলদ্বার দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে পারে শূকর: গবেষণা
0
Share.