জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে ২৯টি নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে

ঢাকা অফিস:জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা ও পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ২৯টি নতুন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের ৬২তম সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।সভায় স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মহিলা ও শিশু এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।নতুন প্রকল্পগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস, পরিবেশ সংরক্ষণ, টেকসই কৃষি উন্নয়ন ও নগর পরিকল্পনার ওপর গুরুত্ব দেবে। কৃষি ও গবেষণা: হাওর অঞ্চলে কার্বন নির্গমন ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি উৎপাদনের ওপর গবেষণা করা হবে। কৃষকদের জন্য পেঁয়াজ সংরক্ষণ ও মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন ব্যবস্থা উন্নত করা হবে। এছাড়া, ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে হাওর ও উপকূলীয় এলাকায় কৃষি উৎপাদন বাড়ানো হবে।নগর উন্নয়ন: ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেটে জলাধার পুনরুদ্ধার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি খালের তীরে বনায়ন এবং গাজীপুরের লবণদহ খাল সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পানি সরবরাহ: রাঙ্গামাটির দুর্গম পাহাড়ে সৌরবিদ্যুৎচালিত নলকূপ বসানো এবং বান্দরবানে সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।পরিবেশ সংরক্ষণ ও সচেতনতা: পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ সরবরাহ, তাল ও ম্যানগ্রোভ বনায়ন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণা করা হবে। একইসঙ্গে, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিষয়ে দেশব্যাপী সচেতনতা প্রচারাভিযান পরিচালিত হবে।পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বন অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি ও গবেষণা সংস্থা এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবে।পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”নতুন প্রকল্পগুলোর কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমিয়ে দেশের পরিবেশ ও কৃষি খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার আশা করা হচ্ছে