জাতিসংঘের প্রথম ত্রাণ বহর ঢুকেছে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়ায়

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় পুনরায় খোলা সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে প্রথম জাতিসংঘের সাহায্য কাফেলা প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, মঙ্গলবার তুরস্ক থেকে বাব আল-সালামেহ থেকে ১১টি লরি অতিক্রম করেছে। অনেক সিরিয়ান যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটির জন্য বিশেষ করে বিদ্রোহী অঞ্চলে সহায়তার অভাবের জন্য ক্ষুব্ধ। গত সপ্তাহের ভূমিকম্পের পর তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ৪১ হাজারের বেশি লোক মারা গেছে বলে জানা গেছে। সোমবার জাতিসংঘ এবং সিরিয়ার সরকার আরও দুটি ক্রসিং ব্যবহার করতে সম্মত হয়েছে। অন্যটি তুর্কি সীমান্তে আল-রাইতে অবস্থিত। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ক্রসিংগুলো প্রাথমিকভাবে তিন মাস খোলা থাকবে। ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে, যখন অনেক মানুষ ঘুমিয়ে ছিল। এদিকে ভূমিকম্পে আর কোনো জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার আশা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। রাশিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কযুক্ত দেশগুলো ভূমিকম্পের পরপরই সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সাহায্য সরবরাহ শুরু করে। কিন্তু বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিম, যেখানে প্রায় ৪১ লাখ মানুষ দুর্যোগের আগেও বেঁচে থাকার জন্য মানবিক সহায়তার উপর নির্ভর করছিল, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তুরস্কের মাধ্যমে জাতিসংঘের কাছ থেকে কোনও সাহায্য পায়নি। জাতিসংঘ বাব আল-হাওয়া ক্রসিংয়ের দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলোর ক্ষতির জন্য দায়ী করেছে, যেটি এখন পর্যন্ত একমাত্র স্থলপথ এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ব্যবহার করার অনুমোদন দিয়েছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘে সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাসাম আল-সাব্বাগ, বিবিসির রেডিও ৪ এর ওয়ার্ল্ড টুনাইট প্রোগ্রামে বলেছেন, ত্রাণ সহায়তা নিয়ে কোনও বৈষম্য করা হবে না। তিনি আরও সাহায্য রুট খোলার বিলম্বের জন্য উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণকারী ‘সন্ত্রাসী বিরোধি গ্রুপকে’ দায়ী করেছেন।

Share.