ঢাকা অফিস: প্রতি বছরের মতো এ বছরও সারাদেশে শুরু হয়েছে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। বুধবার শুরু হওয়া চারদিনের এ ক্যাম্পেইন চলবে আগামী রোববার পর্যন্ত। তবে শুক্রবার এ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় পুষ্টি সেবার (এনএনএস) সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে ১৯ জুন প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম বুধবার বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে শিশুদের ভিটামি ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় জানানো হয়, প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রতি কেন্দ্রে ২ জন করে মোট ২ লাখ স্বেচ্ছাসেবক এই কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকবে। ১২টি জেলার ৪৬টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নকে দুর্গম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে ক্যাম্পেইন পরবর্তী ৪ দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাদ পড়া শিশু অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এর আগে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় পুষ্টি সেবা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের এক লাখ আইইউ মাত্রার একটি নীল ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের দুই লাখ আইইউ মাত্রার একটি লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। দেশের সব ইপিআই কেন্দ্র এবং স্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চারদিন পরিচালিত হবে এ ক্যাম্পেইন। নির্ধারিত ইপিআই শিডিউল অনুযায়ী প্রত্যেক ওয়ার্ডের (পুরনো) আটটি সাব-ব্লকে সপ্তাহের চার কর্মদিবসে নির্ধারিত ইপিআই কেন্দ্রে পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার কল্যাণ সহকারী ও স্বেচ্ছাসেবীরা শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াবেন। এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এলাকায়ও ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে এ কার্যক্রম চলবে। সারাদেশে মোট ২ কোটি ২০ লাখেরও বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিটামিন এ প্লাসের গুণাগুণ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভিটামিন এ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন ‘এ’ শিশুর স্বাভাবিক দৃষ্টি শক্তি বজায় রাখে। ফলে শিশু রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায়। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপচিালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যঅপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডিরেক্টর ডা. এস. এম. মোস্তাফিজুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।