জাপান সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া

0

ডেস্ক রিপোর্টউত্তর কোরিয়া আবারও নতুন করে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে । আজ বুধবার সকালে জাপান সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র দুটি ছুড়েছে দেশটি। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত চার দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা জানা গেল। এ ছাড়া দুই কোরিয়ার সীমানা বিভাজনকারী রেখা পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সেনার উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ ও তাঁকে আটকের ঘটনার পর এটাই পিয়ংইয়ংয়ের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। মার্কিন সেনা আটকের ওই ঘটনায় তুমুল হইচই পড়ে গেছে। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ ভোরে জাপান সাগরে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্র দুটি জাপানের অর্থনৈতিক অঞ্চলের জলসীমার বাইরে পড়েছে। জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা সাংবাদিকদের বলেন, একটি ক্ষেপণাস্ত্র ৫৫০ কিলোমিটার বা ৩৪১ মাইল দূরের লক্ষ্যে ও অন্যটি ৬০০ কিলোমিটার বা ৩৭২ মাইল দূরের লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। ক্ষেপণাস্ত্র দুটি প্রায় ৫০ কিলোমিটার উঁচু দিয়ে উড়ে গেছে। ইয়াসুকাজু হামাদা আরও বলেন, এ ঘটনায় জাপানের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক মাধ্যমে নিন্দা জানানো হয়েছে। একের পর এক এমন ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ থেকে বিরত থাকতে উত্তর কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস)। এক বিবৃতিতে জেসিএস জানিয়েছে, ‘এই কার্যক্রম গুরুতর উসকানি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।’ ওয়াশিংটন ও সিউলের মধ্যে নিউক্লিয়ার কনসালটেটিভ গ্রুপের (এনসিজি) প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান বন্দরে পৌঁছেছে পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী মার্কিন সাবমেরিন। ১৯৮১ সালের মার্চের পর এবার প্রথম পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন কোনো মার্কিন সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে ভিড়েছে। এ ঘটনায় পিয়ংইয়ং নাখোশ হয়েছে।

Share.