ডেস্ক রিপোর্ট: জার্মানিতে দ্বিতীয় দফার লকডাউনের সময়সীমা আরো বাড়ানোয় বিপাকে পড়েছেন সে দেশে বসবাসরত প্রবাসী ব্যবসায়ীরা। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখোমুখি রেস্তোরাঁ ব্যবসায় বিনিয়োগকারীরা। করোনা মহামারিতে টালমাটাল পুরো জার্মানি। সেই সঙ্গে ইউরোপের ২৭টি দেশের সঙ্গে একযোগে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করলেও মৃত আর আক্রান্তের লাগাম টানতে না পারা যেন অদৃষ্টেরই লিখন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের। গত ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রশাসনের দেওয়া লকডাউনের সময় আরো কয়েক সপ্তাহ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের লোকসানের শঙ্কা আরো তীব্র হয়েছে। ভেরাক্রুজ রেস্তোরাঁর মালিক মাসুদুর রহমান বলেন, করোনার আগে আমার দেশের ২০ জন ভাই কাজ করত আর এখন ১০ জন করছেন। তারপরও আমি পুরো সময় কাজ দিতে পারছি না। আর যে ১০ ছিলেন তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন। কেউ উবার বা গাড়ি চালিয়ে দিনযাপন করছেন। তবে দেশটিতে বসবাসরত অন্য ব্যবসায়ীদের মতো এ ব্যবসায়ীরাও দুঃখভরা কণ্ঠে আরো বলেন, করোনার ভয়াবহতা চলতে থাকলে এই খাতে কর্মসংস্থান হওয়া প্রবাসীরা যেমন বিপাকে পড়বেন তেমনি দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর প্রক্রিয়াতে নামতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ভয়াবহ ধস।এদিকে দেশটিতে করোনায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানা খাতে কর্মহীনদের সংখ্যা। এতে বাড়ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দুশ্চিন্তাও। সামনের দিনগুলোতে লকডাউন তুলে দিলেও এমন সংকট থেকে উত্তরণে বেশ কয়েক বছর লেগে যাবে বলছেন অর্থনীতিবিদরা।
জার্মানিতে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে বিপর্যস্ত প্রবাসী বাংলাদেশিরা
0
Share.