বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬

জার্মানিতে দ্বিতীয় দফায় শিথিল হলো বিধিনিষেধ

0

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা সংকটের কারণে জার্মানিতে আরোপিত কিছু কড়াকড়ি শিথিল করা হলেও সামাজিক দূরত্বের বিধানসহ কিছু  বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পর দেশটির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়াও জার্মানিতে করোনা মহামারির প্রথম পর্যায়ের সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন তিনি। বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, ‘আমরা এখন বলতে পারি মহামারিটির প্রথম পর্যায় আমরা পেরিয়ে গেছি। তবে আমাদের সর্বদা সচেতন থাকতে হবে এবং ভাইরাসের প্রতি আমাদের কঠোর নজর রাখাতে হবে।’ম্যার্কেল বলেন, মানুষ এতদিন বিধিনিয়ম মেনে চলায় তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও মানুষের আচরণের ওপর বর্তমান সংকটের গতিপ্রকৃতি নির্ভর করবে। আঙ্গেলা ম্যার্কেল করেন, ফেডারেল কাঠামোর কারণে প্রত্যেক রাজ্য নিজস্ব পথ বেছে নিলেও সামাজিক দূরত্বের মতো মৌলিক প্রশ্নে দেশজুড়ে একই নিয়ম বজায় থাকবে। দোকান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে। ইতোপূর্বে দেশটিতে শুধুমাত্র ৮০০ বর্গমিটার পর্যন্ত দোকান খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রাজ্য সরকার নিজ নিজ রাজ্যের জন্য নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন দেশটির চ্যান্সেলর। কিন্ডারগার্টেন খোলার প্রশ্নেও কিছু মৌলিক বিধিনিয়ম স্থির করে দিয়েছেন ম্যার্কেল ও মুখ্যমন্ত্রীরা। যার ভিত্তিতে রাজ্যগুলো সিদ্ধান্ত নিয়ে কিন্ডারগার্টেন খুলবে। রেস্তোরাঁ, বার, হোটেল, সিনেমা ও থিয়েটার খোলার বিষয়ে রাজ্য সরকারকে নিজস্ব সিধান্ত গ্রহন করতে স্বাধীনতা দিয়েছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল। এছাড়াও জার্মান ফুটবল লিগ মে মাসে সীমিত আকারে চালু হবে। তবে উৎসব, কনসার্ট, সেমিনার, মেলাসহ সব বড় বড় ইভেন্টগুলো কমপক্ষে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকবে দেশটিতে। জার্মানিতে করোনা সংক্রমণ এড়াতে এতদিন শুধু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রকাশ্যে বের হওয়ার অনুমতি ছিল। সার্বিকভাবে সংক্রমণের হার কিছুটা কমায় এবার অন্য একটি পরিবারের সদস্যের সঙ্গেও মেলামেশার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। এদিকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭৫ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪০০ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে জার্মানিতে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ হাজার ৯০১ জন।

Share.