জিয়াকে নিয়ে বিতর্কের কারণ বিএনপি: আইনমন্ত্রী

0

ঢাকা অফিস: বাংলাদেশকে পাকিস্তান করার বিএনপির যে উদ্দেশ্য তা নিঃশেষ না হওয়া পর্যন্ত ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড এবং এর পরবর্তী সামরিক শাসনে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলতেই থাকবে বলে সংসদকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের একজন নাগরিকের বিচার চাওয়ার অধিকার আছে, সংবিধান যদি নাও থাকে, তাহলে সিআরপিসিতেও এটা জনগণের অধিকার।তিনি বলেন, একটা হত্যাকাণ্ড ও একটা অপরাধ যদি সংগঠিত হয় তাহলে সে থানায় গিয়ে একটা এজাহার দায়ের করতে পারে।‘সেই অধিকারটুকু হরণ করে নিয়েছিলেন, ২১ বছরে এটাও কারেক্ট করেন নাই। আর আজকে আপনি বিএনপির সংসদ সদস্য হয়ে বলছেন, এই তর্ক বিতর্ক বন্ধ হোক।’এ সময় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তর্ক বিতর্ক কীভাবে বন্ধ হবে? যতক্ষণ পর্যন্ত আপনারা জাতির পিতাকে জাতির পিতা হিসেবে গ্রহণ করবেন না। তবে আপনারা গ্রহণ করেন আর না করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তাতে কিছু যায় আসে না। তার কারণ তিনি সত্যি সত্যি জাতির পিতা। আর বাঙালি জাতি সেটা জানে ও বাঙালি জাতি তা ধরে রাখবেই।বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৫ আগস্টের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেদিন কোথায় ছিলেন?‘এটা উনি প্রশ্ন করেছেন আওয়ামী লীগের কাছে। কারণ ওই সময় যে পার্লামেন্ট ছিল সেটা আওয়ামী লীগের পার্লামেন্ট। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ। এটা কী অসত্য? সেনাবাহিনীর কয়েকজন বিদ্রোহী সদস্য সপরিবারে হত্যা করলো বঙ্গবন্ধুকে। নিঃসন্দেহে এটি অত্যন্ত মারাত্মক একটি ট্রাজেডি।’এসবে জড়িয়ে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে চলমান বিতর্ক বন্ধ রাখার প্রস্তাব রাখেন হারুনুর রশীদ।জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো সৎ সাহস দেখিয়েছেন। তিনি এটা প্রশ্ন করেছেন। তার মানেই তিনি এটা কগনিজেন্সে নিয়েছেন।’তিনি বলেন, ‘দুঃখের কথা কী বলব, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের এখন যিনি সম্পাদক (রুহুল কুদ্দুস কাজল), তিনি বিএনপি সমর্থিত একজন ক্যাডার। তিনি উল্লেখ করেছেন, সেদিন কালুরঘাটে যদি খুনি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিত এবং পাকিস্তানি হানাদারের ওপর গুলি না চালাত, স্বাধীনতা তাহলে কোথায় থাকত সেটা তিনি উল্লেখ করেছেন। ইতিহাস নাকি অন্যরকম হতো।’এমন বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে আনিসুল হক আরও বলেন, ‘যারা এখনও, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে, আমরা যেখানে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি, যারা এখনও এরকম মিথ্যা কথা বলার ধৃষ্টতা দেখায়, তাদের কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে কী কেউ মনে করবে?হারুনুর রশীদকে প্রশ্ন রেখে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিকে আমার প্রশ্ন, খুনি জিয়াউর রহমান যদি মুক্তিযোদ্ধা হতেন, কেউ কী তার হাতটা চেপে ধরেছিল যে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবে না? ২৬ সেপ্টেম্বর যে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স পাস করা হয়েছিল, এটাকে বাতিল করা যাবে না? এরকম তো কেউ করেনি। তাহলে উনি এই বিচারটা কেন করলেন না?’

Share.