ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাসের গত ৫ মাস ধরে বন্ধ ঝিনাইদহের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। এই সময়ে লোকসান হয়েছে প্রায় কোটি টাকা। আর মানবেতর জীবন যাপন করছেন পার্কের স্থায়ী ও মৌসুমি ৩০০ কর্মী। জানা গেছে, ঝিনাইদহের বর্তমানে পার্ক মোট পাঁচটি। এগুলো হলো, শহরের চুয়াডাঙ্গা সড়কের জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্ক অ্যান্ড পিকনিক স্পট, কুষ্টিয়া সড়কের তামান্না পার্ক, কালীগঞ্জের নলডাঙ্গা রাজবাড়ী, কোট চাঁদপুরের বকুল সিটি পার্ক ও শহরের নবগঙ্গা নদীর পাড়ের প্রান্তিক শিশু পল্লী। পার্কগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, অনেক পার্কে পরিচর্যার অভাবে ঘন ঘাস জন্মেছে। পার্কের রাইডারগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে। এতদিন পরিচর্যায় করলেও লোকসানের কারণে অনেক পার্ক মালিক পরিচর্যা বন্ধ করে দিয়েছেন।শহরের জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্কের সত্ত্বাধিকারী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এটি একটি বড় বিনোদন কেন্দ্র। ঝিনাইদহ জেলা ছাড়াও আশেপাশের জেলা থেকে মানুষ পিকনিক করতে এখানে আসেন। বিনোদনেরও ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। এটির রিসোর্ট সেন্টারে থাকার ব্যবস্থাও আছে। কমিউনিটি সেন্টার থাকায় অনেক সংস্থা সভার জন্যও এখানে আসে। কিন্তু গত ৫ মাস ধরে পার্ক বন্ধ। তবে পরিচর্যা করাতে হচ্ছে। এখানে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন কর্মচারী কাজ করছেন। দর্শনার্থী আসা বন্ধ আর পার্কের নিয়মিত পরিচর্যা করা নিয়ে গত ৫ মাসে ৫০ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে। সরকার পার্ক মালিকদের প্রণোদণা দিলে সেই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেয়া যেত। শহরের তামান্না পার্কের ম্যানেজার রুহুল আমিন বলেন, ৫ মাস বন্ধ থাকার কারণে এর সঙ্গে জড়িত কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পার্কের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করা হলেও পর্যাপ্ত দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। পার্ক চালু থাকলে তারা এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতেন। মিলন হোসেন নামে পার্কের এক কর্মচারী বলেন, তারা কোনো ত্রাণ সহায়তা পাননি। পার্ক মালিক মাঝে মধ্যে সহযোগিতা করলেও যা পাচ্ছেন তাতে কোনো মতো সংসার চলছে। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত পার্ক চালু করার দাবি তার।জোহান ড্রিমভ্যালি পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টের ম্যানেজার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, স্থায়ী অস্থায়ী মিলে এখানে দেড় শতাধিক মানুষ কাজ করতেন। ৫ মাস তারা বেকার। মানবেতর জীবন যাপন করছেন। মালিক মাঝে মধ্যে কিছু সাহায্য করেন। তা দিয়ে চলে না। পার্কের সামনে প্রায় শতাধিক দোকান ছিল। যা বর্তমানে বন্ধ। পার্ক না চললে দোকানগুলো চলে না। যে কারণে তারাও চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, পার্কের মালিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পার্ক চালিয়ে শর্ত সাপেক্ষে আবেদন করলে যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ঝিনাইদহের ৫ পার্কে কোটি টাকা লোকসান
0
Share.