ডেস্ক রিপোর্ট: ইতালির প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তে স্বীকার করেছেন যে, দেশটি লকডাউন আরো শিথিল করার যে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে তাতে ‘সুনির্দিষ্ট ঝুঁকি’ রয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী কন্তে বলেন, ‘আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছি, আর তা হলো সংক্রমণের রেখা আবারো ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। এটা আমাদেরকে মেনে নিতে হবে। তা না হলে আমরা আর কখনোই নতুন করে শুরু করতে পারবো না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতালি করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কার হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারবে না কারণ, তাহলে দেশে অর্থনৈতিক ও সামাজিকে ক্ষেত্রে বড় ভাঙন দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, টিকা আবিষ্কারের জন্য বসে থাকার মতো সক্ষমতা দেশটির আর নেই। প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তে বলেন, ইতালিতে প্রবেশ এবং দেশটি থেকে বাইরে যাওয়া, ইতালির মধ্যেই ভ্রমণ আগামী ৩ জুন থেকে চালু হবে। শরীরচর্চা কেন্দ্র, সুইমিং পুল এবং খেলাধুলা কেন্দ্রগুলো ২৫ মে এবং সিনেমা ও থিয়েটার ১৫ জুন থেকে খুলবে। দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে না গিয়েই ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবেন ইউরোপীয় পর্যটকরা। টানা দুই মাসেরও বেশি সময় লকডাউনে থাকার পর নতুন ঘোষিত এসব পদক্ষেপ দেশটির অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার বিষয়ে বড় ধরণের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে এসব নিষেধাজ্ঞার শর্ত শিথিল করতে শুরু করে দেশটি। এর অংশ হিসেবে ৪ মে থেকে পার্ক এবং কারখানা খুলে দেয়া হয়। রবিবার (১৭ মে) দেশটিতে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে দুই হাজার ৩৬৬ জন। এ দিন নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৬৭৫ জন এবং প্রাণহানির সংখ্যা ১৪৫ জন। রবিবার প্রাণহানির সংখ্যা ছিল লকডাউনের পরে সর্বনিন্ম। এনিয়ে ইতালিতে করোনাভাইরাসে মোট প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়াল ৩১ হাজার ৯০৮ জন। গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা দিনদিন কমতে শুরু করেছে । রবিবার এ সংখ্যা ছিল ৭৬২ জন। মোট চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৬৮ হাজার ৩৫১ জন এবং দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ২৫ হাজার ৭৬০ জন বলে জানিয়েছে নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা। দেশটির সুরক্ষা দিতে সরকার করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানায় সংস্থাটি। ফলে এ পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে এক লাখ ২৫ হাজার ৪৩৫ জন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সোমবার থেকে দোকানপাট এবং রেঁস্তোরা খুলে দেয়া হবে। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে বাণিজ্য এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অর্থনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ৫৫ বিলিয়ন ইউরো প্রণোদনা ঘোষণা করে দেশটির সরকার।
ঝুঁকি জেনেও শিথিলতার পথে এগুচ্ছে ইতালি
0
Share.