ঝড় তুলেছে ৩০ মণ ওজনের ‘মেসি-২’

0

ঢাকা অফিস: ফুটবল মাঠে ঝড় তোলা আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মেসির মতোই শান্ত স্বভাব হওয়ায় বিশালাকৃতির ৩০ মণ ওজনের ষাঁড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘মেসি-২’।কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ভাই ভাই খামারের ওই ৩০ মণ ওজনের ষাঁড়টি কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত। বিজ্ঞাপন দেয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে উঠেছে ষাঁড় ‘মেসি’।একনজর দেখতে ভিড় করছেন বিভিন্ন অঞ্চলের কৌতূহলী মানুষ। খামারি বলছেন, দর-দাম চলছে খুব শিগগিরই বিক্রি হয়ে যাবে এ ষাঁড়টি।প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, তাদের তত্ত্বাবধানে নির্ভেজাল প্রাকৃতিক খাবারে ষাঁড়টি বড় করে তোলা হয়েছে। এ কারণে খামারী ন্যায্য মূল্য পাবেন বলে আশা তাদের।জানা গেছে, এবারের কোরবানির পশুর হাটকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ধূলঝুঁড়ি গ্রামের ভাই ভাই খামারের মালিক দুলাল মিয়া ওই ব্রহামা জাতের ষাঁড়টিকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার কলা, গাঁজর, ভুট্টা, মিষ্টি কুমড়া, পাক চাং ঘাস ইত্যাদি খাইয়ে মোটাতাজা করে তুলেছেন। ইতিমধ্যেই ষাঁড়টির ওজন দাঁড়িয়েছে ১২০০ কেজি (৩০ মণ)। ধূসর-কালো রঙের এ ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ৯ ফুট, উচ্চতা ৫ ফুট।খামারী দুলাল মিয়া জানান, স্বভাবে মধ্যমাঠের খেলোয়াড় আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা মেসির মতোই শান্ত প্রকৃতির হওয়ায় তার ছেলে মো. ইব্রাহিমের ইচ্ছানুযায়ী এ পশুটির নাম রাখা হয়েছে মেসি-২।তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজন এ কোরবানির পশুটি কিনতে দরদাম করছেন। ইতিমধ্যেই সর্বোচ্চ ১৬ লাখ টাকা দাম হয়েছে। এ দামের হেরফের হলেই কেবল তিনি তার প্রিয় ষাঁড় মেসি-২কে ক্রেতার হাতে তুলে দিবেন।হোসেনপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল মান্নান বলেন, বিপুল আলোচিত মেসি-২ ষাঁড়টি তাদেরই তত্ত্বাবধান ও পরামর্শে খামারী লালন-পালন করে বড় করে তুলেছেন। আর তাকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়েছে। পশুটি ভালো মূল্যে বিক্রি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

Share.