টাঙ্গাইলে বড় ভাইকে ফাঁসাতে স্ত্রী হত্যা

0

ঢাকা অফিস: বড় ভাইকে ফাঁসাতে স্ত্রীকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী। ছেলে ও স্ত্রীর ভাতিজার সহায়তায় স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে পানিতে ডুবিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বলে ঘাতক স্বামী মো. আলাল উদ্দিন বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুরের দেওহাটা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। সোমবার সকালে মির্জাপুর থানার দেওহাটা ফাঁড়ির পুলিশ উপজেলার আজগানা বিল থেকে সুফিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, আলাল উদ্দিনের সঙ্গে বড় ভাই মিনহাজের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে বড় ভাই মিনহাজকে ফাঁসানোর জন্য আলাল উদ্দিন তার স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজের বড় ছেলে মাদক বিক্রেতা শরীফুল ইসলাম ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের আলালের স্ত্রীর ভাই মোতালেব হোসেনের ছেলে স্বপন মিয়াকে টাকা ও জমির লোভ দেখান। পরে শনিবার রাতে আলাল উদ্দিনের ছেলে শরীফুলকে দিয়ে তার মাকে আজগানা বিলের ধারে ডেকে নেন। সেখানে স্বামী আলাল উদ্দিনকে দেখে স্ত্রী সুফিয়া বলেন তুমি এখানে কেন। জবাবে আলাল উদ্দিন স্ত্রীকে বলেন, দুইজনে বিলে গোসল করলে আমাদের রোগ বালাই ভালো হবে। এতে সরল বিশ্বাসে সুফিয়া স্বামীর সঙ্গে বিলের পানিতে নামেন। সেখানে স্বামীর হাতে থাকা চাকু দিয়ে সুফিয়াকে হত্যার চেষ্টা করে। পরে স্বামী আলাল উদ্দিন, ছেলে শরীফুল ও ভাতিজা স্বপন পানিতে নেমে হাত পা ধরে চুবিয়ে সুফিয়াকে হত্যা করে বাড়ি চলে যায়। সোমবার সুফিয়ার ভাই মেছের আলী বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতে পুলিশ ঘাতক স্বামী আলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে বুধবার রাতে মির্জাপুর থানা পুলিশ আলাল উদ্দিনের বাড়ি থেকে ছেলে শরীফুল ও ভাতিজা স্বপনকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার স্বামী আলাল উদ্দিনকেহাজির করা হলে সেখানে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেন অপর দুই ঘাতককে শুক্রবার রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। বড় ভাইকে ফাঁসানোর জন্য ছেলে ও সমুন্ধির ছেলেকে নিয়ে পাষন্ড স্বামী স্ত্রীকে হত্যা করেন বলে ওসি সায়েদুর রহমান জানিয়েছেন।

Share.