ঢাকা অফিস: দুই দিন ধরে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত আছে নীলফামারীতে। এতে করে জেলা সদর, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও ডোমার উপজেলায় আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও মূলাসহ উঠতি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনেও বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাঁদ ইউনিয়নের দুর্বাছড়ি গ্রামের কৃষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে আমার সবজি ক্ষেতের আলু, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ক্ষতির মুখে পড়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ক্ষেতে আরও পানি জমে যাবে। এতে সবজি গাছ পাঁচে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’ একই কথা বলেন ওই এলাকার কৃষক হুসনে আরা। তিনি বলেন, ‘আমার আলু ক্ষেতে পানি জমে যাচ্ছে। এভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে।’ এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আবুল কাশেম আজাদ বলেন, ‘এ বছর জেলায় এক হাজার ৬৪১ হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষ করেছেন কৃষকরা। এই বৃষ্টিতে আমন ধানের উপকার হলেও আগাম আবাদ আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও মূলার ক্ষতি হতে পারে।’ এদিকে, গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে কিছুটা দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার শ্রমজীবী মানুষ। ঘর থেকে বের হতে পারছেন না তারা। বৃষ্টির কারণে আগেই ঠাণ্ডা পড়ায় গবাদী পশু নিয়েও বিপাকে রয়েছেন অনেকেই। অনেককে গরুর গায়ে চট জড়িয়ে রাখতে দেখা গেছে। জেলা শহরের নিউ বাবুপাড়া মুরগিহাটি মহল্লার ভ্যানচালক বালু মিয়া (৪৫) বলেন, ‘আট সদস্যের সংসার চালাই, গত দু’দিনের বৃষ্টি আর ঠণ্ডার জন্য ভাড়ায় যাইনি। এ রকম চলতে থাকলে ছেলেমেয়ে নিয়ে উপোস থাকতে হবে।’ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সকালে সৈয়দপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তরাঞ্চলসহ নীলফামারীতে আগামী ২৪ ঘণ্টা গুঁড়িগুঁড়ি ও ভারী বৃষ্টি এবং দমকা বাতাস বয়ে যেতে পারে। জেলায় শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
টানা বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকরা
0
Share.