টিকায় সমাধান খুঁজছে মালয়েশিয়া

0

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাভাইরাস প্রতিরোধক টিকা সম্পন্ন করেছেন যারা, তাদের চলাচলে শিথিলতা আনতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া সরকার। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমনই আভাস দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের ভ্রমণ ও রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়ার বিষয়ে ভাবছে সরকার। শুধু চলাচলই নয় টিকার ‍দুই ডোজ নেয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আরও অনেক শিথিলতা আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এ বছরের শেষ নাগাদ মালয়েশিয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরবে বলেও প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন। তিনি বলেন, জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি জোরেসোরে চলছে। একদিনে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ২১ হাজার মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের শেষ অস্ত্র এই টিকা প্রয়োগ যার মাধ্যমে শেষ আশা দেখছেন বলেও মন্তব্য করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।টিকা প্রয়োগে এখন বৃহত্তর ক্লাং ভ্যালিকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে পুরো দেশের মানুষকে এর আওতায় আনা হবে বলে জানান মহিউদ্দিন। দৈনিক টিকা দেয়ার পরিমাণ এ মাসের শেষদিকে আরও বাড়ানো হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।উল্লেখ্য, কঠোর থেকে কঠোরতর লকডাউনের পরও কোনোভাবেই করোনা সংক্রমণ কমাতে পারছে না মালয়েশিয়া। এর ফলে সবাইকে টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে করোনা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে দেখছে দেশটির সরকার।এদিকে স্থানীয়দের পাশাপাশি টিকা পেতে শুরু করেছেন প্রবাসীরাও। মাইসেজাহাত্রা অ্যাপসে’র মাধ্যমে আবেদন করে বিনামূল্যে সহজেই টিকা পাচ্ছেন বৈধ এবং কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীরাও। দেশটিতে বুধবার পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেছেন ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ৩৪ জন এবং প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন ৩৫ লাখ ২৬হাজার ৬৭৬ জন।

Share.