টিসিবির পণ্য চান রেস্তোরাঁ মালিকরা

0

ঢাকা অফিস: দেশে করোনার সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ ছিল। এ কারণে আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেননি বলে দাবি করেছেন হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিকরা। এরই মধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে বলে জানান তারা। এই পরিস্থিতিতে ন্যায্য দামে টিসিবির পণ্য পেতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা। শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ৩৪তম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় এ দাবি জানান রেস্তোরাঁ মালিকরা। সভায় সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতির পরেও কোনো হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবারের দাম বাড়ানো হয়নি। যদিও মজুরি ও খরচ অনেক গুণ বেড়েছে। কম টাকায় মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। গ্যাস-পানির দামও বাড়ানো হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি। করোনার কারণে আমাদের যে লোকসান হয়েছে, সেটা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু এর মধ্যে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি আমাদের থামকে দিয়েছে। এখন পণ্যের দামের কারণে খাবার বিক্রি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। আমরা আর টিকতে পারছি না। এ পরিস্থিতিতে সর্বস্বান্ত হওয়া ছাড়া আমাদের গতি নেই। লোকসানে অনেকেই রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিচ্ছেন জানিয়ে ইমরান হাসান বলেন, এ পরিস্থিতি থেকে আমাদের পরিত্রাণের জন্য ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে পণ্য দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে। তাহলে অনেকে টিকে থাকতে পারবেন। ন্যায্যমূল্যে পণ্য পেলে তাদের খরচ কিছুটা পোষাবে। ভ্যাট কমানো সুবিধায় শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে জানিয়ে ইমরান বলেন, গত বছর আমাদের যে ভ্যাট কমানো হয়েছিল, সে সুবিধায় শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। আমরা ভ্যাটের রেয়াত নিতে পারছি না। এ সমস্যার সমাধান হয়নি। আবার সারা দেশে ভ্যাট চালু হয়নি। কেউ দিচ্ছেন, কেউ দিচ্ছেন না। এর ফলে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষরা যেসব হোটেলে খান, সেখানে ভ্যাট তিন শতাংশ করার দাবিও জানান তিনি। সরকারের প্রতি রেস্তোরাঁ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা এবং তারপরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার আহ্বানও জানান তারা। এ সময় রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী আমরা। তারপরও কোথাও খাবারের দাম বাড়েনো হয়নি। খাবারের কোনো সংকট হয়নি। কিন্তু সেটা কেউ দেখে না। এতো কিছু করার পরেও আমরা অবহেলিত, নির্যাতনের শিকার। রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ৩৪তম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ওসমান গনি, সহসভাপতি শাহ সুলতান খোকন, সহসভাপতি এম রেজাউল করিম সরকার রবিন প্রমুখ।

 

Share.