স্পোর্টস ডেস্ক: তিন দলের ওয়ানডে কাপে দুর্দান্ত খেলায় সামনে এসেছে ইরফান শুক্কুরের নাম। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দীর্ঘ ১০ বছর খেলে ফেললেও গায়ে জড়ানো হয়নি জাতীয় দলের জার্সি। অথচ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সতীর্থ সৌম্য সরকাররা জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ। জাতীয় দলে জায়গা না হলেও হাল ছাড়েননি ইরফান। ঘরোয়া লিগে দ্যুতি ছড়িয়ে যাওয়া ইরফানের এবার সুযোগ হয়েছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলার। গত মাসে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপেও ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় দুই নম্বরে। ২১৯ রান নিয়ে মুশফিকুর রহিম ছিলেন এক নম্বরে, ইরফান করেন ২১৪ রান। আসন্ন টি-টোয়েন্টি কাপেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান এই উইকেট রক্ষক-ব্যাটসম্যান। ‘সামনের টুর্নামেন্ট খেলার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টস কাপের পারফরম্যান্স আমাকে অনুপ্রেরণা দিবে। আমি চেষ্টা করবো এবারের টুর্নামেন্টেও সেই ফর্মটা টেনে নিয়ে যাওয়ার। দলের হয়ে ১০০ ভাগ অবদান রাখতে চেষ্টা করবো।’ ইরফানের লক্ষ্য এখন জাতীয় দলকে ঘিরে। লম্বা সময় ধরে অপেক্ষাটা পূর্ণ হলে জাতীয় দলেও টিকে থাকতে চান লম্বা সময়। ‘অন্যসব ক্রিকেটারের মতো আমার লক্ষ্য হচ্ছে, লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার। তবে এই মুহূর্তে আমি পরিকল্পনা কেবল সামনের টি-টোয়েন্টি কাপকে ঘিরে। এভাবে ধাপে ধাপে আমি এগুতে চাই। জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়তে আমার হাতে আছে, নিজের পারফরম্যান্স এবং কঠোর পরিশ্রম। ভবিষ্যতের সুযোগের অপেক্ষা তাই আমি টিম ম্যানেজম্যান্ট ও নির্বাচকদের ওপর ছেড়ে দিচ্ছি।’ বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে তার দল নাজমুল একাদশ হয়েছিল রানার্স আপ। চ্যাম্পিয়ন না হবার আক্ষেপটা ঘুচাতে ইরফানের লক্ষ্য এবার টি-টোয়েন্টি কাপ। ইরফান বিশ্বাস করেন, বরিশাল ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়েছে। তামিম ইকবাল, তাসকিনদের সঙ্গে রয়েছে তরুণ আফিফ, সুমন খান, আমিনুল বিপ্লবরা। ‘আমাদের দল ভালোই ভারসাম্যপূর্ণ হয়েছে। দলে অভিজ্ঞ সিনিয়র যেমন আছে, জুনিয়রদের মিলিয়ে ভালো সমন্বয় হয়েছে। এছাড়াও নিজেদের ভারসাম্যপূর্ণ বলার কারণ, আমাদের দলে যারা আছেন তারা সবাই নিয়মিত পারফর্ম করে থাকেন। এছাড়াও সদ্য শেষ হওয়া প্রেসিডেন্টস কাপেও যারা পারফর্ম করেছে তাদের নিয়ে এই দল গঠন করা হয়েছে। আমরা তাই ফাইনাল খেলার ইচ্ছে ও শিরোপার জন্যই মাঠে নামবো।’
টি-টোয়েন্টি কাপে লক্ষ্যের কথা জানালেন ইরফান
0
Share.