ডেস্ক রিপোর্ট : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার ২০ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০০১ সালের আজকের এই দিনে বিশ্ববাসী যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার ভয়াবহ দৃশ্য দেখেছিল। এ হামলায় প্রায় তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হয় ছয় হাজারের অধিক মানুষ।আল কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। এ হামলার ফলে বিশ্ব রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে।টুইন টাওয়ারে হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক বাহিনী আফগানিস্তানে হামলার সুযোগ পায়। সেই সঙ্গে ইরাকেও হামলার সূচনা করে। এই দুই দেশে মার্কিন বাহিনীর দীর্ঘ মেয়াদি যুদ্ধে বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে দেশে ছেড়েছেন।টুইনে টাওয়ারে হামলার পাশাপাশি হামলা চালানো হয় মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনেও। এছাড়া ছিনতাই হওয়া আরও একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল পেনসিলভানিয়ার শাঙ্কসভিলে।যুক্তরাষ্ট্রে আল কায়েদার হামলার পর আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। সে সময়ে তালেবানের সরকার ক্ষমতায় থাকায় অভিযোগ ওঠে সন্ত্রাসী সংগঠন আল কায়েদার জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে আসছে তালেবান।শেষ পর্যন্ত মার্কিন বাহিনীর ক্রমাগত অভিযান এবং হামলার মুখে টিকতে না পেরে পতন ঘটে তালেবানের। আফগানিস্তানে আশ্রয়-প্রশ্রয় পাওয়া আল কায়েদার জঙ্গিরা মার্কিন বাহিনীর তাড়া খেয়ে আশ্রয় নেয় পাকিস্তানে। শেষ পর্যন্ত সেখানেও অভিযান চালিয়ে টুইন টাওয়ারে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী।এদিকে, টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনার পর ধ্বংসস্তূপ সরাতে সময় লেগেছিল আট মাসেরও বেশি। ওই স্থানে তৈরি করা হয়েছে একটি জাদুঘর এবং একটি স্মৃতিসৌধ।এছাড়া পেন্টাগন পুনর্নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রে সময় লেগেছিল প্রায় এক বছর। ২০০২ সালের আগস্টের মধ্যেই পেন্টাগনের কর্মচারীরা আবার তাদের কর্মস্থলে ফিরে যান।
টুইন টাওয়ারে হামলার ২০ বছর
0
Share.