টেকনাফে বনভূমি দখল করে দালান নির্মাণ

0

বাংলাদেশ থেকে কক্সবাজার প্রতিনিধি: টেকনাফের বাহারছড়া শিলখালীতে বনজসম্পদ দখলে নিয়ে দালান নির্মাণ করছে প্রভাবশালীরা। পরে দখলবাজ চক্রটি দালান নির্মাণ, বনভূমি দখল, সামাজিক বনায়নের গাছ নিধন করে যাচ্ছে । রাজারছড়া, নোয়াখালী পাড়া, কচ্ছপিয়া, হাজম পাড়া, বাইন্যা পাড়া ও শিলখালীতে অহরহ পাহাড় কেটে সমতল করে দালান নির্মাণ হচ্ছে। স্থানীয় পরিবেশ প্রেমীরা জানান, প্রভবশালী মহলের পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিতে হবে। পাহাড় ধসে মৃত্যু রোধ করতে হলে ন্যাড়া পাহাড়ে গাছপালা লাগিয়ে সবুজ আচ্ছাদনে ছেয়ে দিতে হবে। পাহাড়ে বসতি স্থাপন সম্পূর্ণ বন্ধ করা দরকার। পাহাড় কেটে অবৈধ বাড়িঘর নির্মাণ পরিবেশ প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতি বলে জানিয়েছেন তারা। স্থানীয় কিছু অসাধু বন কর্মকর্তা মোটা অঙ্কের টাকায় ম্যানেজ হয়ে পাহাড় কাটা দেখেও যেন দেখে না। এদিকে কক্সবাজার শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড়ে বসতঘর তৈরি করে বসবাস করছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। বন উজাড় ও পাহাড় কেটে বসতঘর তৈরিসহ নানা কারণে পাহাড় ধসে গত ১০ বছরে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এরমধ্যে বর্ষা শুরু হওয়ায় সর্বত্র পাহাড় ধস আতঙ্ক বিরাজ করছে। সারা বছর কোনো উদ্যোগ না নিলেও প্রতিবছর বর্ষা এলে মাইকিং করে পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরে যেতে বলে কোনো রকম দায় এড়ানোর চেষ্টা করে প্রশাসন।স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েকদিনের ভারীবর্ষণ ও ঝড়ো বাতাসে জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দেয়। যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধ্বসে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে। এ আশঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশ বা চুঁড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ আবাস গড়া লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরে যেতে নির্দেশ দিয়ে মাইকিং হয়েছে। স্বেচ্ছায় না সরলে অভিযানের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেয়া হচ্ছে। পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ পরিচালক শেখ নাজমুল হক বলেন, জেলার মোট ভূমির ৩৮ শতাংশ পাহাড়ী অঞ্চল। সব পাহাড়েই কোনো না কোনোভাবে বেদখল রয়েছে। এসব পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রায় দেড় লাখ লোক বসবাস করে।তিনি বলেন, পাহাড় ধসের জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে ভয়ঙ্কর পাহাড় কাটা। বৃষ্টির সময় পাহাড়ের লোকজনরা পাহাড় থেকে মাটি সরাতে ঢালু করে দেয়। ফলে পাহাড় ধস হয়। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ বলেন, ঝুকিঁপূর্ণভাবে পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে পাহাড় ধস কমাতে হলে জনগণকে সচেতন হতে হবে। পাহাড় কাটা না কমালে পাহাড় ধস হবেই। সে কারণে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাহাড় কাটা বন্ধ করতে জনগণকে অনুরোধ করেন তিনি। পাশাপাশি পাহাড়ে বেশি করে গাছ লাগানোরও পরামর্শ দেন।

 

Share.