ট্রাম্পের কাছ থেকে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি নেই

ডেস্ক রিপোর্ট: হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক শন কোনলি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে করোনা ছড়ানোর আর ঝুঁকি নেই। এক বিবৃতিতে ডা. শন কোনলি বলেছেন, ট্রাম্প আইসোলেশন থেকে মুক্ত হতে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করিয়েছেন। পরীক্ষায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের শরীরে সক্রিয়ভাবে ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সংবাদ সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক শন কোনলি বলেন, ‘আজ (গতকাল শনিবার) সকালের কোভিড-১৯ পিসিআরের নমুনা পরীক্ষায় ট্রাম্পের দেহে সক্রিয়ভাবে ভাইরাস বৃদ্ধির কোনো প্রমাণ মেলেনি। তাঁর দ্বারা অন্যরা সংক্রমিত হবে না।’ শন কোনলি আরো বলেন, ১০ দিন আগে ট্রাম্পের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। একদিন পর গত ২ অক্টোবর ট্রাম্প হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে ট্রাম্প পুরোপুরি করোনামুক্ত হয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে কোনলি কিছু না জানিয়ে আরো বলেন, ট্রাম্পের শরীরে জ্বর নেই। তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এদিকে করোনা চিকিৎসার জন্য তিন দিন হাসপাতালে থাকা ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারে ফিরে যেতে মরিয়া হয়ে আছেন। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর গতকাল শনিবার প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউসে উৎসাহিত সমর্থকদের সামনে বক্তব্য দেন ট্রাম্প। গত ২ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।এরপর কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত অবস্থাতেই গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাটকীয়ভাবে হোয়াইট হাউসে ফেরেন। এরপর গত সোমবার স্থানীয় সময় রাতে তিনি সামরিক হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এর আগে গত রোববার ডোনাল্ড ট্রাম্প সামরিক হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এক মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে জনসমক্ষে এসে তাঁর সমর্থকদের অভিবাদন জানান। এরপর নতুন এক বিতর্কিত ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, তাঁর অসুস্থতা সত্ত্বেও জাতির এই ভাইরাসকে ভয় পাওয়া উচিত নয়।জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন কোটি ৭০ লাখ ৯৩ হাজার ৪১২ জনে পৌঁছেছে। জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১০ লাখ ৭১ হাজার ৪৬০ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়েছে দুই কোটি ৫৭ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ।করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৭৭ লাখ ১৭ হাজার ৬৩৩ জন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং সে দেশে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে দুই লাখ ১৪ হাজার ৩৬৬ জনে। আর সুস্থ হয়েছে ৩০ লাখ ৬২ হাজারের বেশি মানুষ।