ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ছাড়া পাওয়া যাত্রীর দেহে করোনা ভাইরাস

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ইয়োকোহামা বন্দরের কাছে পৃথক করে রাখা প্রমোদতরীতে ভাইরাসের লক্ষণ না মেলা এক নারী ছাড়া পাওয়ার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তার দেহে করোনা ভাইরাস এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাতসুনোবু কাতো, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসে দুই সপ্তাহ থাকার পর বুধবার সেখান থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন ওই নারী, সেখানে পরীক্ষায় তার দেহে ভাইরাস ধরা পড়েনি। পরে টোকিওর উত্তরে তোচিগি প্রিফেকচারে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ওই নারীর দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাতো জানান, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার প্রমোদতরীটি থেকে ছাড়া পাওয়া ২৩ জনের ৫ ফেব্রুয়ারির পর আর কোনো পরীক্ষা হয়নি। সরকার এখন ওই ছাড়া পাওয়া ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছানো এবং তাদের পুনরায় পরীক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে। “আমাদের নজরদারির মধ্যেই যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি আমরা। সংক্রমণের বিস্তৃতি ঠেকাতে আমরা ফের পরীক্ষার মতো প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই নেবো,” বলেছেন তিনি। কার্নিভাল করপোরেশনের মালিকানাধীন ডায়মন্ড প্রিন্সেসে ৩ হাজার ৭০০-র মতো যাত্রী আছে। ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রমোদতরীটিকে ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস এরই মধ্যে দুই হাজার ৪০০র বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানেও কয়েকশ মানুষের ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে টোকিওতে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক হওয়ার কথা; তার আগে ভাইরাসের বিস্তৃতি ঠেকাতে জাপান সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ ‘যথেষ্ট কিনা’ তা নিয়ে প্রশ্ন বাড়ছে। জাপানের ‘বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায়’ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও শনিবার তাদের নাগরিকদের দেশটিতে ভ্রমণে সতর্কতার মাত্রা দুই-এ উন্নীত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভ্রমণ সতর্কতার চারটি মাত্রা রয়েছে। নতুন আক্রান্ত ২৭ জনসহ করোনা ভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১৩২ এ পৌঁছেছে বলে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। দেশটির উপকূলে নোঙর করে থাকা ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৬০০-র বেশি যাত্রীও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইডো প্রিফেকচারের ১০ বছর বয়সী এক বালক এবং টোকিওর পূর্বদিকের চিবা প্রিফেকচারের এক নারী শিক্ষকও আছে। ভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে ওই শিক্ষক স্কুলেও গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। নিউমোনিয়া সদৃশ প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটিতে শিশুদের ঝুঁকি সামান্য বলে দেখা গেছ। বয়োবৃদ্ধদের তুলনায় কম বয়সীদের আক্রান্তের হারও তুলনামূলক অনেক কম।

Share.