ডেস্ক রিপোর্ট: ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে বাংলাদেশে নতুন গ্রেফতারের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর প্রিন্সিপ্যিাল ডেপুটি অ্যাসিস্যান্ট সেক্রেটারি এলিস ওয়েলস এক টুইট বার্তায় এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশেরর অধিকার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। বাক স্বাধীনতাকে গণতন্ত্রের ভিত্তি হিসাবে অভিহিত করে মার্কিন মন্ত্রী এলিস ওয়েলস বলেন, এই মহামারির সময় এটিই (মুক্তভাবে মত প্রকাশই) মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারে। এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এই টুইট বার্তায় বলেন, সঠিকভাবে জনস্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার জন্য মুক্ত ও স্বাধীন মিডিয়া নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক তথ্য পরিবেশন করতে পারে, সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে বাক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা এবং সাংবাদিকদের ঠিকমতো কাজ করতে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। মার্কিন দূতের পাশাপাশি মুক্ত মতের চর্চা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে বৃটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা ৭ রাষ্ট্রদূত পৃথক টুইট বার্তায় প্রায় অভিন্ন আহ্বান জানান। অবশ্য সরকারের তরফে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন কূটনীতিকদের ওই বক্তব্যে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তাদের বক্তব্য ‘দুর্ভাগ্যজনক, হতাশাব্যঞ্জক এবং অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনীতিকদের বক্তব্যে এতোটাই ক্ষেপেছেন যে, তাদের (কূটনীতিকদের) এমন বক্তব্যের পেছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে কি-না? তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন । শুধু তা-ই নয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিডিয়া মারফত কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘনের সম্ভাব্য পরিণতির কথাও তাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে সতর্ক করেন। বলেন, যখন বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব করোনা বা কোভিড -১৯ এর বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তখন একটি নির্দিষ্ট ইস্যুতে অভিন্ন বা প্রায় একই ধরণের মন্তব্য অনাকাঙ্খিত, অনভিপ্রেত।
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে গেপ্তারে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
0
Share.