মঙ্গলবার, মার্চ ২৫

ড. ইউনূসের মতে, বিশ্বের সকল সরকার আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে

0

ঢাকা অফিস:প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে পৃথিবীর সকল সরকার আমাদের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা শুরু হয়েছিল গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের বার্ষিক বৈঠকে। বিশ্বের সরকার প্রধানরা কীভাবে আমাদের সঙ্গে আগ্রহ নিয়ে দেখা করতে এগিয়ে এসেছে। তারপর থেকে যেকোনো সম্মেলনে গিয়েছি, দেখেছি আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের আগ্রহ কীভাবে ক্রমেই বেড়ে চলেছে।মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।শীঘ্রই দেশে নতুন বিনিয়োগ আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে যাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের বর্তমান ব্যবস্থায় বিনিয়োগের বিষয়ে খুবই আগ্রহী। আশা করছি, দ্রুততম সময়ে দেশে নতুন নতুন বিদেশি বিনিয়োগ আপনারা দেখতে পাবেন।’তিনি বলেন, ‘সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশে রপ্তানি ১৩ শতাংশ বেড়েছে। জানুয়ারিতে ৭ শতাংশ কনটেইনার হ্যান্ডেলিং বেড়েছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে লাইসেন্সিং রিকোয়ারমেন্টস, প্রত্যাবাসন আইনসহ বিনিয়োগকারীদের যে সাধারণ সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো সমাধানে কাজ শুরু করেছে।’অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আগামী মাসে ঢাকায় চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন করছে, বিশ্বখ্যাত অনেক বিনিয়োগকারী এতে অংশ নেবেন। ইতোমধ্যেই ডিপি ওয়ার্ল্ড, সিঙ্গাপুর পিএসএ, এপি মোলার মারস্ক কয়েক বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব করেছে।’দাভোস সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে গিয়েছিলাম। এই সম্মেলনে ৪৭টি পৃথক ইভেন্টে আমার অংশগ্রহণ করতে হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, মন্ত্রী, বিশ্ব বাণিজ্যের নায়করা, জাতিসংঘের মহাসচিব, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাঁরা আমাদের পাশে থাকার জন্য আন্তরিক আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আমি সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েছিলাম। তারা বিগত সরকারের সময় আমাদের ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা সে দেশের ভিসার দরজা খোলার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন তাদের দিক থেকে সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ভিসার দরজা উন্মুক্ত করবেন। আমি আশা করছি সেটা দ্রুতই উন্মুক্ত হবে।’অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘আমি সংযুক্ত আরব আমিরাতকে আমাদের দেশে শিল্পকারখানা গড়ে তোলার জন্য একটি শিল্পাঞ্চল করার প্রস্তাব দিয়েছি। তারা এই বিষয়ে আগ্রহ জানিয়েছে। শিল্প অঞ্চলে দুটি কাজ দিয়ে তারা শুরু করবে। এজন্য কথাবার্তা শুরু হয়েছে। প্রথমে মুসলিম বিশ্বে সরবরাহের জন্য একটি হালাল গোশত প্রক্রিয়াজাত করার কারখানা করবে। এরপর মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কারখানা স্থাপন করবে। তারা আমাদের নতুন সামুদ্রিক বন্দর পরিচালনা করার জন্যও আগ্রহ জানিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।’

Share.