শনিবার, নভেম্বর ২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা

0

ঢাকা অফিস: করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং লকডাউন বিবেচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার বাংলা নববর্ষ সীমিত পরিসরে প্রতীকী কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে।  এ  উপলক্ষে চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন মুখোশ ও প্রতীক নিয়ে অনুষদ প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক দূরত্ব  বজায় রেখে সংক্ষিপ্তভাবে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রতীকী এই শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন।   এতে আরও অংশগ্রহণ করেন,  বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য  (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি  অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়াসহ চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।এ উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাইকে  বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আবহমানকাল থেকে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেয়ার যে বর্ণিল উৎসব ও  ঐতিহ্য, সেটি অসাম্প্রদায়িক, উদার ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন।  নানা বিবেচনায় বাংলা-১৪২৮ সালটি গুরুত্ববহ একটি বছর।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর  রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে বাংলা নববর্ষের আগমন ঘটল।কোভিড-১৯ এর কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে বাংলা নববর্ষকে  স্বাগত জানাতে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করায় উপাচার্য চারুকলা অনুষদকে আন্তরিক ধন্যবাদ  জানান।সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভূক্ত মঙ্গল শোভাযাত্রা। কিন্তু চলমান করোনা মহামারি  পরিস্থিতিতে এ বছর পহেলা বৈশাখ উৎসবমূখর পরিবেশে উদযাপন করা সম্ভব হচ্ছে না।আমরা আশা করি আগামীতে বাংলাদেশে আগের  রূপে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে সক্ষম হবো।  নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সংক্ষিপ্তভাবে প্রতীকী এই মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও চারুকলা অনুষদকে ধন্যবাদ  জানান।

Share.