ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেনের ভাড়া নন-এসি ৩৫০, এসি ৬৬৭ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব

0

ঢাকা অফিস: আগামী নভেম্বর মাস থেকে এ রেলপথে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করবে। এ উপলক্ষে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৭৭ কিলোমিটার রেলপথের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, আন্তঃনগর ট্রেনের নন-এসি ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৫০ টাকা। এসি চেয়ারে ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে ৬৬৭ টাকা। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের প্রস্তাবনায় বলেছে, ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির পেছনে প্রধান দুটি বিষয় উঠে এসেছে। একটি পদ্মা সেতু। অপরটি গেন্ডারিয়া-কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত উড়ালপথ। এই পথের জন্য অতিরিক্ত পথ যোগ করে ভাড়া বেশি ধরা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব ধরে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুকে ১৫৪ কিলোমিটার রেলপথ ধরা হয়েছে। গেন্ডারিয়া থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত উড়ালপথের প্রতি কিলোমিটারকে ধরা হয়েছে ৫ কিলোমিটার। প্রায় ২৩ কিলোমিটার উড়ালপথকে ১১৫ কিলোমিটার রেলপথ ধরা হয়েছে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, এজন্যই ঢাকা থেকে ভাঙ্গার দূরত্ব ৭৭ কিলোমিটার হলেও পদ্মা সেতু ও কেরানীগঞ্জের উড়াল সেতুর জন্য দূরত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫৩ কিলোমিটার। বর্তমানে দেশে লোকাল, মেইল, কমিউটার ও আন্তনগর- এই চার ধরনের ট্রেন চলাচল করে। লোকাল ট্রেনের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ৩৯ পয়সা আর আন্তঃনগর ট্রেনের নন-এসি শ্রেণির ভিত্তি ভাড়া ১ টাকা ১৭ পয়সা। আর কিলোমিটারপ্রতি এসি শ্রেণির ভিত্তি ভাড়া ১ টাকা ৯৫ পয়সা। বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) সরদার সাহাদাত আলী জানান, পদ্মা সেতু ও কেরানীগঞ্জের উড়ালপথের জন্য একটু ভাড়া বেশি হবে। তবে যশোর পর্যন্ত পুরো রেলপথ চালু হয়ে গেলে ভাড়া কমে যাবে।

Share.