ঢাবির জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট

0

ঢাকা অফিস: পয়লা জুলাই, ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মশত বর্ষ। ঔপনিবেশিক আমলে বঙ্গভঙ্গ রদের রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ায় ঘটনার আবর্তে ১৯২১ সালের পয়লা জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ছিল এই অঞ্চলের মানুষের জন্য শিক্ষার আলোকবর্তিকা-অবিস্মরণীয় একটি ঘটনা।দিবসটি উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড প্রকাশ করেছে।ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বৃহস্পতিবার ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনের দপ্তরে এ বিষয়ে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট ও ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন। এছাড়া ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড উদ্বোধন করা হয়। মন্ত্রী এ সংক্রান্ত একটি সিলমোহর ব্যবহার করেন। তিনি এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন, উনপঞ্চাশ সালের টাঙাইলের উপনির্বাচন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয়দফা, আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বাঙালির প্রতিটি গণতান্ত্রিক লড়াই ও  বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সূতিকাগার হিসেবে উল্লেখ করেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র মোস্তাফা জব্বার  বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বাংলাদেশে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরোভাগে (অগ্রভাগে) থেকেছেন এবং চরম রক্তমূল্য দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিশিষ্ট, সম্মানিত ও বিদ্বান শিক্ষক ও ছাত্র পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় সহযোগীদের পরিচালিত সুপরিকল্পিত, সুশৃঙ্খল ও সুনিয়ন্ত্রিত বাঙ্গালি বুদ্ধিজীবীদের বীভৎস হত্যাকান্ডের শিকার হয়ে নৃশংসভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন।বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকারের অনন্য সাধারণ ও অভূতপূর্ব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর প্রামাণিক সাক্ষ্যকে ধারণ করে জীবন্ত স্মৃতিস্তম্ভ ও জীবন্ত স্মারক হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিরজাগরূক বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন এবং ওই বছরের ২৭ মে গঠিত হয় ১৩ সদস্যবিশিষ্ট ‘নাথান কমিশন’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ এবং ৮৪৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতিষ্ঠার এই দিনটি প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস বাঙালির অন্যসব অর্জনের মতো প্রতিকূলতার ইতিহাস। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে নিজস্ব স্বাধীন প্রতিবাদী চিন্তা ধারা তৈরি করে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটাকার্ড বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা জিপিও’র ফিলাটেলিক ব্যুরো এবং পরে দেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান ডাকঘর থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

Share.