শনিবার, নভেম্বর ২৩

তীর-ধনুকের হামলায় নিহত- ৫, আহত-২

0

ডেস্ক রিপোর্ট: নরওয়ে এক ব্যক্তির তীর-ধনুক নিয়ে ধারাবাহিক হামলায় ৫ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার দেশটির রাজধানী অসলো থেকে ৬৮ কিলোমিটার দূরে কংসবার্গে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরে সন্দেহভাজন হিসেবে ডেনমার্কের ৩৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে দ্রামেন শহরের একটি থানায় নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। হামলায় তীর-ধনুক ছাড়া অন্য কোনো অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। স্থানীয় পুলিশ প্রধান ওয়েভিন্দ আস সাংবাদিকদের বলেছেন, “সন্দেহভাজন হামলাকারীকে ধরা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে হচ্ছে তিনি একাই এসব হামলা চালিয়েছেন।” আহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও আছেন, তবে সে সময় তিনি দায়িত্বরত ছিলেন না। কেন এভাবে তাদের হত্যা করা হল, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। পুলিশ বলেছে, তারা ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এটি ‘সন্ত্রাসী হামলা’ কিনা, তদন্তে তাও খতিয়ে দেখা হবে। নরওয়েতে ২০১১ সালের পর এমন প্রাণঘাতী হামলা আর ঘটেনি। এক দশক আগে কট্টর ডানপন্থি আন্দ্রেই ব্রেইভিকের সেই হামলায় ৭৭ জন নিহত হয়েছিলেন, যাদের বেশিরভাগই ছিল কিশোর বয়সী।বুধবারের ঘটনার সময় হামলাকারী কংসবার্গের বড় এলাকাজুড়ে চলাফেরা করেছে বলে পুলিশের ধারণা। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “কংসবার্গ থেকে আজ রাতে যে খবর এসেছে তা আতঙ্কজনক। আমি বুঝতে পারছি, অনেকেই ভীতসন্ত্রস্ত, কিন্তু এখন সবকিছু পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।” এ ঘটনার পর পুলিশ সদস্যদেরকে সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার নির্দেশ দিয়েছে নরওয়ের পুলিশ অধিদপ্তর। নরওয়েতে পুলিশ সাধারণত সঙ্গে অস্ত্র রাখে না, তবে প্রয়োজন পড়লে কর্মকর্তারা বন্দুক ও পিস্তল ব্যবহারের অনুমতি পান। পুলিশ দপ্তর বলেছে, “এটা (অস্ত্র সঙ্গে রাখার নির্দেশ) অতিরিক্ত সতর্কতার অংশ। তবে জাতীয় নিরাপত্তা সতর্কতার মাত্রা পরিবর্তন করার মত কোনো ইঙ্গিত এখনও মেলেনি।

Share.