ডেস্ক রিপোর্ট: প্রতারণা করে স্বামীর অর্থ আদায় করাই ছিল তার কাজ। এজন্য চারটি ভুয়া আধার কার্ডও বানিয়েছিলেন তিনি। সেই কার্ড ব্যবহার করে তিনটি বিয়ে করেছেন। এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের কালাহান্দি জেলায়। এরপর এলি মহন্ত নামে ৩২ বছর বয়সী একজন নারীকে গ্রেপ্তার করেছে কালাহান্দি জেলার পুলিশ।পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ে করা এবং ডিভোর্স দেয়ার জন্য তার স্বামীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করতেন এলি। নিজের প্রতারণা চালানোর জন্য বেশ কয়েকবার নামও বদলেছেন তিনি। কখনও সিন্ধুমতি মুন্ডা, কখনও মমতা জৈন আবার কখনও হয়েছে মমতা আগারওয়াল। পুলিশ জানিয়েছে, এই চার নামেই আধার কার্ড বানিয়েছেন এলি।কালাহান্দি পুলিশ জানিয়েছে, সুন্দরগড় জেলার জালদার বাসিন্দা এলি। তিনি প্রথমে কুমুদাবন্ধু পাটেলকে বিয়ে করেন। কুমুদাবন্ধুর মৃত্যুর পর ২০১৩ সালে রাজেন্দ্র দাসকে বিয়ের করেন এলি। রাজেন্দ্রর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর ছত্তিশগড়ের শরণগড়ে এক আত্মীয়ের বাসায় ওঠেন তিনি।মদনপুর রামপুর পুলিশ স্টেশনের ইন্সপেক্টর ইন চার্জ জয়দেব তারিনি বলেন, গত বছরের জুন মাসে বীরবল শর্মা নামে একজন মধ্যস্থতাকারী এলির সঙ্গে বিয়ের জন্য বিকাশ জৈনের বাবা-মায়ের কাছে প্রস্তাব দেন। এজন্য বিকাশের বাবা-মায়ের কাছ থেকে ৪ লাখ রুপি দাবি করে বীরবল।বিকাশের বাবা-মা তাদের ছেলেকে যেকোনো উপায়ে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তাই এই শর্ত মেনে এলির সঙ্গে বিকাশের বিয়ে হয় গত বছরের ২৮ জুন। বিয়ে করতে বাবা-মা ভাড়া করেন এলি। আর বিকাশের বাবা-মা বীরবলকে শর্ত মতো ৪ লাখ রুপি দেন।তবে বিকাশকে বিয়ের সময় নিজের নাম মমতা আগারওয়াল বলে জানান এলি। এলি বিয়ের পর অদ্ভুত আচরণ করা শুরু করলে বিকাশের সন্দেহ হয়। এসময় তিনি এলির কাছে চারটি আধার কার্ড এবং নগদ ৩০ হাজার রুপি পান। পরে এলি বিকাশের কাছে ডিভোর্স চান। এমনকি ৫ লাখ রুপিও দাবি করেন। পরে পুলিশের শরণাপন্ন হয় বিকাশের পরিবার। মদনপুর রামপুর পুলিশ জানিয়েছে, এলি সম্ভবত আরেকটি বিয়ের পরিকল্পনা করছিলেন। তবে এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
থাক না ঘরটা ফাঁকা, তালাকের পর তালাক দিয়ে নিয়েছেন যখন টাকা
0
Share.