থানা থেকে জব্দ মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় এসআই আটক

ঢাকা অফিস: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা থেকে জব্দ মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় আটক এসআই জামিরুল ইসলামকে সোমবার (১৮ নভেম্বর) হাইওয়ে পুলিশ সদর দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। গত রবিবার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাতে এসআই জামিরুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে ছিল। রাতে তাকে থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে রাখা হয়েছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, এসআই জামিরুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানায় কর্মরত ছিলেন। গত ৩ আগস্ট সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের খাকচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি মো. উবায়দুল্লাকে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। এসময় সে দফতরি উবায়দুল্লাকে মারধরও করে। পরে ওই দফতরি আড়াই হাজার টাকা দিয়ে জামিরুলের হাত থেকে ছাড়া পান। এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট এসআই জামিরুলকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে সে রাঙামাটি জেলার বরকল থানায় যোগ দেয়। চলতি মাসের ১১ নভেম্বর সে হাইওয়ে পুলিশের উত্তরা সদর দফতরে যোগ দেয়। সেখান থেকে কোনও ছুটি না নিয়ে সে গত রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যায়। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যার পর সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা ভবন থেকে একটি জব্দ মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় কর্তব্যরত কনস্টেবল সালাউদ্দিন তাকে বাধা দেয়। কিন্তু জামিরুল বাধা না মেনে মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়। পরে বাংলাদেশ সময় রাতে তাকে আটক করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশের হেফাজতে আনা হয়। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম উদ্দিন জানান, আমরা খবর নিয়ে জেনেছি এসআই জামিরুল অফিসিয়াল ছুটি ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় এসে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। তাকে আটক করে সোমবার হাইওয়ে পুলিশের সদর দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবির জানান, এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।