ডেস্ক রিপোর্ট: দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া’র শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার মোদি সরকারের মুসলিমবিদ্বেষী নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে বিক্ষোভকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আন্দোলনকারী ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে লাঠি দিয়ে আঘাত করে পুলিশ। এমন তাণ্ডব থেকে বাদ যায়নি ছাত্ররাও। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। গোপনাঙ্গে আঘাতের শিকার ১০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে জামিয়া হেলথ সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। আহত এক শিক্ষার্থী জানান, পুলিশের এক নারী সদস্য তার বোরকা তুলে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসকরা ইন্ডিয়া টুডে-কে জানিয়েছেন, গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের আল শিফা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, কিছু শিক্ষার্থীর বুকেও আঘাত করা হয়েছে। দুই ছাত্র ইন্ডিয়া টুডে-কে জানিয়েছে, তাদেরও গোপনাঙ্গে আঘাত করেছে পুলিশ। আক্রান্ত ছাত্রদেরও জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এক ছাত্রী বলেন, ‘পুলিশ বুট জুতা নিয়ে আমার গোপনাঙ্গে আঘাত করেছে। এক নারী পুলিশ আমার বোরকা তুলে গোপনাঙ্গে লাঠি দিয়ে আঘাত করে।’ আরেক শিক্ষার্থী জানান, পুলিশ আমার গোপনাঙ্গে লাথি মারে। তারা নারীদের মারধর শুরু করলে তাদের বাঁচাতে আমি সেখানে হাজির হই। এ সময় তারা আমার বুকে, পিঠে, পায়ে ও গোপনাঙ্গে আঘাত করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসক আমাকে ইমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে আসেন। গোপনাঙ্গে হামলার ঘটনায় অজ্ঞান হয়ে পড়ার কথা জানিয়েছেন আরেক শিক্ষার্থী। আল শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এদিনের বিক্ষোভের ঘটনায় নয় জন তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে আটজন জামিয়ার শিক্ষার্থী এবং অন্যজন স্থানীয় বাসিন্দা। এরমধ্যে গুরুতর আহত এক শিক্ষার্থীকে আইসিইউ-তে নেওয়া হয়েছে। এদিন বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবন অভিমুখে অগ্রসর হতে চাইলে এ তাণ্ডব চালায় পুলিশ। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় বহু সাধারণ মানুষ এদিনের বিক্ষোভে অংশ নেন। জামিয়া সমন্বয় কমিটির (জিসিসি) নেতৃত্বে জামিয়া শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীসহ বিক্ষোভকারীরা সিএএ-এনআরসি-এনপিআর-এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। বিক্ষোভকারীরা ‘আমরা নথি দেখাবো না’ সহ সিএএ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। প্রতিবাদ বিক্ষোভে অনেক নারীও শামিল হন। প্রতিবাদী জনতা এ সময় হাতে জাতীয় পতাকা বহন করে মোদি সরকারের মুসলিমবিদ্বেষী আইনের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেয়। এক পর্যায়ে জামিয়ার সাত নম্বর গেট থেকে বিক্ষোভ শুরু হলে পুলিশ ওই মিছিল থামানোর নির্দেশ দেয়। জেবা আনহাদ নামের একজন বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা দুই মাস ধরে আন্দোলন করছি। সরকারের পক্ষ থেকে কেউ আমাদের সঙ্গে এমনকি কথা বলতেও আসেনি। সেজন্য আমরা তাদের কাছে যেতে চেয়েছিলাম।
দিল্লির জামিয়া মিলিয়ায় ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে লাঠি দিয়ে আঘাত করলো পুলিশ
0
Share.