দুগ্ধপোষ্য মেয়েকে মেরে ফেলতে ওয়ার্ড্রবে ভরে রাখতেন মা

0

ডেস্ক রিপোর্ট:  সন্তানের প্রতি মায়ের অপত্য স্নেহ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আর তাই সন্তানকে আগলে রাখতে জীবন বাজি রাখতেও দ্বিধা করেন না মায়েরা। কিন্তু এবার দেখা গেল উল্টো চিত্র।‘অনাকঙ্ক্ষিত’ সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে চাননি রাশিয়ার এক মা। আর তাই ছোট্ট শিশুটিকে মরার জন্য আটকে রাখতেন ওয়ার্ড্রবে। নিজেরই সন্তানকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ওই মায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।রাশিয়ার ৩৮ বছর বয়সী ওই নিষ্ঠুর মায়ের নাম ইউলিয়া যাইকোভা। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা সন্তানের নাম পলিনা। ঘটনাটি জানাজানি হয় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে। পরে পুলিশ যেয়ে ছোট্ট শিশুটিকে উদ্ধার করে।ছোট্ট পলিনাকে যখন উদ্ধার করা হয় তখন তাকে দেখে চমকে ওঠেন উদ্ধারকারীরা। অভুক্ত-কঙ্কালসার পলিনার বেঁচে থাকা নিয়েও সংশয়ে পড়ে যান তারা।ওয়ার্ড্রবে আটকে রাখার পরও পলিনা বেঁচে যাওয়ার কারণ হলো তারই ১৩ বছর বয়সী ভাই ম্যাটভি মাকে লুকিয়ে লুকিয়ে তার বোনের মুখে খাবার তুলে দিত। আর এভাবেই ধুকে ধুকে বেঁচে ছিল ছোট্ট পলিনা।ছোট্ট পলিনাকে উদ্ধারের পর তার ছবি নাড়া দিয়েছিল পুরো রাশিয়ার মানুষকে। যেখানে অনেক দম্পতিই সন্তানের আশায় মাথাকুটে মরছে সেখানে ওই মায়ের এমন কাণ্ড নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় দেশটিতে।জানা গেছে, ওই নারী তার সাবেক সঙ্গী কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়ে ওই বাচ্চার জন্ম দেন। আর তাই ওই বাচ্চাকে বাঁচিয়ে রাখার ইচ্ছা ছিল না তার।তবে ধরা পড়ে যাওয়ায় এখন তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও নিষ্ঠুরতা নিয়ে তদন্ত চলছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে ১৫ বছরের সাজা ভোগ করতে হতে পারে।যাইহোক ছোট্ট সেই পলিনা এখন সুস্থ হয়ে উঠেছে। কদিন আগেই তার প্রথম জন্মদিন পালিত হয়েছে রাশিয়ার এক এতিমখানায়। সেখানে পলিনাকে হাসি-খেলায় সময় পার করতে দেখা গেছে। তাকে দত্তক নেয়ার জন্য নিঃসন্তান রুশ দম্পতিদের আহ্বান জানিয়েছে এতিমখানা কর্তৃপক্ষ।

Share.