দুবাই পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী,আটকে দিল বিক্ষোভকারীরা

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। বর্তমানে দেশটিতে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বলতে আর কিছুই নেই। অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের ছোটভাই ও দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপাকসে গোপনে দেশ ছেড়ে দুবাই পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু দেশটির  বিক্ষোভকারীদের বাধার কারণে তার সেই চেষ্টা ভেস্তে গেছে। ভারতের দুই সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার সকালে দুবাই যাওয়ার উদ্দেশে গোপনে কলম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে হাজির হন বাসিল। কিন্তু বিমানবন্দরে থাকা লোকজন তাকে চিনে ফেলেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই একদল বিক্ষোভকারী বিমানবন্দর ঘেরাও করে অবস্থান নেন। এই পরিস্থিতিতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বাসিল রাজাপাকসেকে বিদেশভ্রমণজনিত ক্লিয়ারেন্স দিতে অপারগতা জানালে অবশেষে বিমানবন্দর ছেড়ে ফিরে যান শ্রীলঙ্কার সাবেক অর্থমন্ত্রী। বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি—তবে এই ঘটনার পর  কলম্বোর গুরুত্বপূর্ণ রাজপথ ও তল্লাশিচৌকিতে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। শ্রীলঙ্কার কোনো রাজনৈতিক নেতা, বিশেষ করে রাজাপাকসে পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতেই এই অবস্থান। ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। বর্তমানে দেশটিতে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বলতে আর কিছুই নেই। ফলে ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ অধ্যুষিত শ্রীলঙ্কা খাবার, ওষুধ, জ্বালানির মতো অতি জরুরি আমদানিও করতে পারছে না। বর্তমান এই দুরাবস্থার জন্য দেশটির অধিকাংশ মানুষ প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে এবং তার  বড়ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে দায়ী করছেন। বাসিল রাজাপাকসে ছিলেন সেই সরকারের অর্থমন্ত্রী। গত মার্চ থেকেই প্রেসিডেন্ট ও প্রধামন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সব সদস্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছে রাজধানী কলম্বোসহ বিভিন্ন শহরে। গত ৯ জুলাই বিক্ষোভকারীদের রোষ থেকে বাঁচতে সরকারি বাসভবন ছেড়ে নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন গোতাবায়া রাজাপাকসেও।

Share.