ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশের জনগণকে পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করেছেন। যুক্তরাজ্যের বাসিন্দাদের উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেছেন, পরিস্থিতির উন্নতি ঘটার আগে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে আমাদের। প্রয়োজনে কঠোরতম কড়াকড়ি আরোপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৯ জনের। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন স্বয়ং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোভিড -১৯ ধরা পরার পর থেকে স্বেচ্ছা আইসোলেশনে আছেন তিনি। যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং দৈনন্দিন জীবনে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোর প্রভাব পড়ার আগেই সামনের দুই থেকে তিন সপ্তাহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ জনগণের বাড়িতে বাড়িতে সতর্কতামূলক চিঠি পাঠিয়েছেন বরিস। সরকারি নির্দেশনার স্পষ্টতা নিয়ে সমালোচনার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ব্রিটেনের প্রায় তিন কোটি পরিবারকে ওই চিঠি পাঠাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫৮ লাখ পাউন্ড। চিঠিতে মহামারিকে “জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি” হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা রক্ষা করতে এবং জীবন বাঁচাতে সবাইকে বাড়িতে থাকার অনুরোধ করেছেন তিনি। চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য সেবাদানকারীর পাশাপাশি যারা অসহায় মানুষদের সহায়তায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন তাদের কাজের প্রশংসা করেন। চিঠিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন: ‘শুরু থেকেই আমরা সঠিক সময়ে যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করেছি। বৈজ্ঞানিক ও চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ নিব। আমরা জানি পরিস্থিতি ভাল হওয়ার আগে সবচেয়ে বাজে রূপটা দেখিয়ে যাবে।’ চিঠিতে তিনি আরও বলেছেন, “তবে আমরা সঠিক প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা সবাই নিয়ম যত বেশি মেনে চলবো, তত কম জীবন হারাবো এবং ততো তাড়াতাড়ি জীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারবে।” ওই চিঠির সাথে সরকারি নিয়মকানুন এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য সম্বলিত লিফলেটও দেওয়া হয়েছে। লিফলেটটিতে হাত ধোয়া সম্পর্কিত দিক নির্দেশনা, করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলির ব্যাখ্যা, বাড়ি থেকে বের হওয়ার সরকারি নির্দেশনা এবং অসহায় মানুষদের সহায়তা করা সংক্রান্ত নানা পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
দেশের জনগণকে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
0
Share.